নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর নৌকা ঘাটের আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। গুরুতর ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার লালপুর কলোনীপাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার লালপুর পদ্মা নদীর কলোনি নৌকা ঘাটের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ নিরসনে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক পলাশের কাছে দুই পক্ষ যান। এ বিষয়ে কোন সমাধান না হওয়ায় চেয়ারম্যানের কাছে উভয়পক্ষ দুই দিনের সময় চেয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে আসেন। তাঁরা কলোনীর দিকে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। একপর্যায়ে কলোনীতে পৌছতেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ৮ জন গুরুতর জখম হন।
আহতরা হলেন, দক্ষিণ লালপুর কলোনীর মৃত ইছার উদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম আমবু (৩৫) ও শামীম (৩৮) এবং পান্নুর ছেলে বিপ্লব (৩৫)। দক্ষিণ লালপুর চরের লোকমানের ছেলে সেন্টু (৩৭), নুবসারের ছেলে বকুল (৪০), দক্ষিণ লালপুর কলোনীর সানেজ আলীর ছেলে খাইরুল (৪৫), মোজাফফর হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন (১৭) ও লোকমান খাঁর ছেলে ঝন্টু (৩৩)।
স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুরুতর জখম আমিরুল ইসলাম আম্বু ও বকুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, মারামারিতে এলোপাতাড়ি আঘাতে তারা আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন কে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাৎক্ষণিক চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।