বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পূর্ব ঢাকার রোড থেকে পশ্চিম ঢাকার রোড পর্যন্ত বগুড়া নওগাঁ মহাসড়কের প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তার বেহাল দশা।
দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার কাজে ধীরগতি হওয়ার কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ। এসব খানা খন্দে প্রতি নিয়তই যানবাহন বিকল হওয়ার পাশাপাশি ঘটছে দূর্ঘটনা। যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন।
নওগাঁ জেলা থেকে বগুড়া হয়ে যানবাহনগুলো ঢাকাতে যাতায়াতে প্রধান সড়ক হিসাবে চলাচল করে আসছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে গর্তগুলো ভরাট করলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা আবার ভেঙে যাচ্ছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলাকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কয়েকটি স্থানে সড়কের পাশের অংশ দেবে গেছে। দেবে যাওয়া বিভিন্ন অংশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সান্তাহার বশিপুর ঈদগাহ সংলগ্ন সড়ক অংশ। সম্প্রতি সেখানে ১০ থেকে ১২ টি যানবাহন বিকল হয়েছে পাশাপাশি দেবে যাওয়া গর্তে আটকা পড়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সান্তাহার পূর্ব ঢাকার রোড থেকে পশ্চিম ঢাকার রোড পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।রাস্তার অনেক জায়গায় দেবে যাওয়ার কারণে বিকল্প পথ হিসেবে সান্তাহার পৌর শহরের ভিতরের রাস্তা দিয়ে যাতায়েত করতো বগুড়া,ঢাকাগামী যানবাহন। কিন্তু সান্তাহার শহরের প্রবেশদ্বারে একটি কালভার্ট দেবে যাওয়াই রাস্তাটি দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই মহাসড়কে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ও বাস গাড়ি চালক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না গাড়িগুলো। শিগগিরই সড়কের দেবে যাওয়া অংশ ও সৃষ্টি হওয়া গর্ত মেরামত করা না হলে এ সড়ক ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সড়কের দুই পাশের প্রশস্ততা বৃদ্ধি ও সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।