পিরোজপুর ইন্দুরকানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ছোট ভাইয়ের চোখ তুলে নিয়েছেন বড় ভাই এমন ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের পত্তাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। বড় ভাই মোঃ আসলাম আলী খান, আর ছোট ভাই মোঃ ওবাইদুল খান, তারা পত্তাশী গ্রামের মৃত চাহেব আলী খানের ছেলে।
ঘটনার সত্যতার বেপারে জানতে চাইলে আহত ওবাইদুলের স্ত্রী সুমা বেগম বলেন আমার স্বামীকে তার বড় ভাই আসলাম খান বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে মেইন রাস্তার পাশে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রামণ করে, এ সময় আমার স্বামীকে রড দিয়ে তার একচোখ উপরে ফেলে এতে আমার স্বামী মারাত্তক ভাবে জখম হয়। তিনি আরো বলেন আমার স্বামী ওবাইদুল ও তার বড় ভাই আসলাম খান তাদের দুজনের নামে জমি ক্রয় করেন, কিন্তু আমা স্বামী সেই জমিতে রোপন করা কাঠাঁল গাছের কাঠাঁল পারতে গেলে তার ভাই তাকে গালাগালি করে এবং মারধর করে। এ ছাড়া আমার শশুরের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে আমার স্বামীকে তার ভাগের অংশ না দেওয়ার জন্য তার বড় ভাই আসলাম পরিকল্পিত ভাবে এঘটনা ঘটায়। এবং এই জমি নিয়ে এর আগেও আমার স্বামীকে তার মেজো ভাই আকরাম মারধর করে এবং আমার স্বামীর বিরুদ্বে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। এছারা আমার স্বামীকে মেওে ফেলার জন্য প্রায় সময় হুমকি দিতো। যারা আমার স্বামীকে হত্যায় উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর উপর আক্রামণ করেছে আমি তার সুষ্ট বিচার চাই।
ওবাইদুলের ছোট বোন কাকলি বেগম বলেন আমার এই ভাইদের মধ্যে প্রায় সময় জমি নিয়ে বিরোধ হয়। প্রায় সময় আমার বড় ভাই আসলাম, আমার আরেক ভাই ওবাইদুল কে মারধর করে আমরা আমাদের ভাইদের জমি সংক্রান্ত বিষয় সমাধান করার চেষ্টা করতে চাইলেও তা পারিনি। আমি আমার ভাইয়ের উপর যারা আক্রামণ করেছে আমি তার সুষ্ট বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাজমুল হাসান বলেন আমি সন্ধ্যায় জানতে পারি যে আসলাম খান তার ছোট ভাই ওবাইদুল কে মারধর করে এবং তার চোখে আঘাত করে, পরে আমি ও স্থানীয়রা ওবাইদুলকে উদ্বার করে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দেই এবং ঘটনার বিষয়টি ইন্দুরকানীর থানার ওসি এনামুল হক স্যার কে জিানাই।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং আহত ওবাইদুল কে চিকিৎসা করারোর জন্য তার পরিবারকে বলেছি, পরবর্তিতে তার পরিবার থানায় মামলা করলে আমরা তার বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।