অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ের সাত দিনের মাথায় খুন হয়েছেন এক তরুণী। গত ২৯ জুন বুধবার রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দিতি (১৮) ওই এলাকার মুছা মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত যুবক রহুল আমিন (২২) একই এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রহুল আমিনের সঙ্গে দিতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার অন্য এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে তার বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজে যান তার স্বামী খাইরুল। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রহুল আমিন তার ভাবিকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যায়। ডাকাডাকির পর দিতি দরজা খুললে সঙ্গে সঙ্গে রহুল আমিন দা দিয়ে তার মাথায় কোপ দেন। এতে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন দিতি। এ সময় তার মা চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যায় রহুল আমিন।
পরে স্বজনরা দিতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে মারা যায় দিতি। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক। অভিযুক্তকেও ধরতে সন্ধান চালাতে থাকে পুলিশ। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে ধরা দেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন, প্রেম ঘটিত কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দিতির বাবা থানায় মামলা করেছেন।