সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর এলাকা থেকে নিজাম উদ্দিন সরদার (৬২) নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (২৯ জুন) রাত ২ টার দিকে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের মোজামের বাড়ীর পাশ্ববর্তী রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কলারোয়া থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। নিহত নিজাম উদ্দিন উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, কাজীরহাট বাজারে নিজাম উদ্দিনের নিজাম স্টোর নামে একটি মুদি, বিকাশ ও ফ্লাক্সি লোডের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে দোকান বন্ধ করে সে বাড়ী ফিরছিল। কিন্তু রাতে তার আর বাড়ী ফেরা হয়নি। স্থানীয় এলাকাবাসীরা রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে গোয়ালচাতর এলাকার প্রধান সড়কের উপর তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মেম্বর আসাদুজ্জামানকে খবর দেয়। তিনি ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে রাত ২ টার দিকে নিজাম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। নিহতের ছেলে গোলাম রসুল জানান, তার পিতা কাজিরহাট বাজারে তাদের দোকান বন্ধ করে প্রতিদিনের ন্যায় আনুমানিক ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। প্রায় দোকানে চুরি হওয়ার কারণে মোবাইল বিকাশের লেনদেনকৃত টাকা দোকানে না রেখে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। ঘটনার দিন রাতে সে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। ওই দিন গোয়ালচাতর গ্রামের আবদুস সামাদের বাড়ীতে তার ছেলে সুমন, ভাই আবদুল মাজেদ, মমিনুর ও স্ত্রী তহমেনাসহ আরও অনেকে পিকনিক করছিল। রাতে তার বাবা ওই এলাকা দিয়ে বাড়ী ফেরার সময় তার পিতাকে দেখতে পেয়ে তারা টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং মারপিট করে। পরে পুলিশ গোয়ালচাতর রাস্তার উপর থেকে তার বাবার মরদেহ উদ্ধার করে। দীর্ঘ দিন ধরে আবদুস সামাদের স্ত্রী তহমেনা তাদের দোকান থেকে বিকাশে টাকা লেনদেন করতো। পুলিশ তাদেরকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ করছে। কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী ও ইউপি মেম্বারের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত মুদি ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোয়ালচাতর গ্রামের আবদুস সামাদের স্ত্রী তহমেনা বেগম, ছেলে সুমন ও তার ভাই আবদুল মাজেদ ও মমিনুরসহ ৪ জনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিজাম উদ্দিন ওই রাতের ফোন করে তহমিনার কাছে। যার নাম্বার ডায়াল কলে উঠে আছে। সম্ভবত সে তহমেনাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে যায়। এ সময় তহমেনার ছেলে সুমন, ভাসুর আবদুল মাজেদ ও দেবর মমিনুর তাকে দেখতে পেয়ে ধরে মেরে ফেলতে পারে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী। পোষ্টমটেমের রিপোর্ট আসলে কি ভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বিস্তারিত জানাযাবে বলে থানা পুলিশ জানায়।