১০হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পরেও বাকী ৪০ হাজার টাকার দাবীতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জীবণ নাশের হুমকির ঘটনায় সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চিহ্নিত দুই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার হয়েছে। ওই এজাহার দেয়ার পর থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে কোন সময় ওই চাঁদাবাজরা সরকারি কর্মকর্তা ডা. অমল কুমারকে বড় ধরনের ক্ষতি করে দিতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। ঘটনার বিবরণে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার সরকার জানান- জাকির হোসেন ও মোজাহিদুল ইসলাম ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস, একটি বাড়ী একটি খামার-পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, বিআরডিবি অফিস, প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়মিত ভাবে সংবাদ প্রকাশের ভয়ভিতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এলাকায় তারা চাঁদাবাজ বলে পরিচিত। বহু দিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজী করে আসছে। তাদের পেশা চাঁদা আদায় করা। এই টাকায় তাদের সংসার চলে। ঘটনার দিন তারা দুজন অফিসে এসে সরকারি প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার চাঁদা দাবী করে। এ সময় তিনি মান সম্মানের ভয়ে ১০হাজার টাকা দেন। বাকী ৪০ হাজার টাকা না দেয়ায় ওই চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণিসম্পদ অফিসের নামে সাতঘরিয়া পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সম্মান হানি করেছে। এতে সরকারী অফিসের ভাবমূর্তি এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এতিমধ্যে এনএটিপি-২ এর এআইএফ-২ ম্যাচিং প্রকল্পের চেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। তার পরেও জাকির হোসেন ও মোজাহিদুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত ৪০ হাজার টাকা না পেয়ে ওই প্রকল্পের মহিলা সিআইজি সদস্যদের বাড়ীতে গিয়ে রাতের বেলায় নানা ভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করে হয়রানী করেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠিত হয়ে সিআইজি সদস্যরা ১৯জুন সকালে কলারোয়া উপজেলায় ৭৮০জন সিআইজি সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সহ এলাকার শত শত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চাঁদাবাজ জাকির হোসেন ও মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের দপ্তরে স্বারক লিপি প্রদান করে। এর পরে চাঁদাবাজ জাকির ও মোজাহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে ২২জুন আরো দুটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মকর্তার মানসম্মান ক্ষুন্ন করে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার আরো বলেন-থানায় এজাহার দেয়ার পর থেকে বিভিন্ন লোক দিয়ে নানা ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি মোবাইল ফোনেও বিভিন্ন লোক দিয়ে হয়রাণী মূলক কথা বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য কলারোয়া থানায় ওই দুই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে এজাহার দাখিল করেছেন। এদিকে ওই দুই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার হয়েছে শুনে তারা গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।