অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে
ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার পরিবারের মাঝে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির
আওতায় খয়রাতি (জিআর) চাল দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সাড়ে তিন শতাধিক পরিবারকে ১০ কেজি করে
খয়রাতি (জিআর) চাল দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ডিএম সাদিক আল
শাফিন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন, ইউপি সচি মোছা. শাহনাজ
পারভীন, সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির, ফকরুজ্জামান রায়হান, ফারুক, আজিজল
প্রমুখ। এ ছাড়া উপজেলার অপর ছয়টি ইউনিয়নে একযোগে খয়রাতি (জিআর) চাল দেওয়া
হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায়
অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ঝিনাইগাতী
উপজেলার কাংশা ইউনিয়নে ২ মেট্রিক টন, ধানশাইলে ৩ মেট্রিক টন, নলকুড়ায়
আড়াই মেট্রিক টন, গৌরিপুরে দেড় মেট্রিক টন, ঝিনাইগাতী সদরে সাড়ে ৩
মেট্রিক টন, হাদিবান্দায় সাড়ে ৩ মেট্রিক টন, মালিঝিকান্দায় ৪ মেট্রিক টন
চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার দুই হাজার
পরিবারকে ১০ কেজি করে খয়রাতি (জিআর) এ চাল দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, অতিবর্ষণ ও
পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার শুরু থেকে শুকনা খাবারের পাশাপাশি চাল-ডালসহ
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায়
ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার পরিবারকে খয়রাতি (জিআর) চাল দেয়া হয়েছে। সহায়তা
কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।