নুরেআলম মিনা, বিপিএম, পিপিএম গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৬ সালে জন্ম গ্রহন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ হতে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস সমাপ্ত করে ২০ তম বিসিএসের মাধ্যমে ২০০১ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহী হতে প্রশিক্ষণ শেষে ২০০২ হতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বিলাইছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া সার্কেল পদে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে রেলওয়ে জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলা ও ডিএমপি, ঢাকার এডিসি (রমনা বিভাগ), কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে ২৭ এপ্রিল ২০১৩খ্রি. পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলায় এবং ২৮ এপ্রিল ২০১৩খ্রি. হতে ১৯ জুলাই ২০১৬খ্রি.পর্যন্ত সিলেট জেলার পুলিশ সুপার পদে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত ২০ জুলাই ২০১৬খ্রি. হতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার পদে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্বরত আছেন।
নুরেআলম মিনা, বিপিএম, পিপিএম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর দারফুর, সুদান মিশনে দায়িত্ব পালনকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক প্রাপ্ত হন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ‘‘বেস্ট-ইন-একাডেমিক্স” পদকে ভূষিত হন। বাংলাদেশ পুলিশে তাঁর অসাধারণ দায়িত্ব পালনের জন্য ২০১৩ সালে "প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা", ২০১৪ সালে ‘‘আইজিপি ব্যাজ’’এবং ২০১৮ সালে জঙ্গী দমনে অসীম সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)- সাহসিকতা" পদক লাভ করেন।
চাকুরী জীবনে তিনি দেশে বাস্তব প্রশিক্ষণ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ কলেজ হতে ‘‘ব্যাসিক কমার্শিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্স’’ সম্পন্ন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং ০২ কন্যা ও ০১ পুত্র সন্তানের জনক।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষহীন নুরেআলম মিনা, বিপিএম, পিপিএম মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জনবান্ধব সেবামুখী পুলিশিং নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রবাসে কর্মরত চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দাদের পুলিশি সহায়তার জন্য তিনি চালু করেছেন ”প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক”। যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে।
সেবা, কর্মদক্ষতা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা” পদক পেয়েছেন গত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯খ্রি. ঐতিহাসিক রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। ইতোপূর্বে তিনি সেবা ও কর্মদক্ষতায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে “প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা” এবং ২০১৮ সালে জঙ্গী দমনে অসীম সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সাহসিকতা” অর্জন করেন।