রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে এঘটনা ঘটে।
এ হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের দু’জন বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন, বড়হিজলী গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে খোকন ও বেরুলি গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে রইস মোল্লা। আহত অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতেই হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
হামলার ঘটনায় রাতেই ১৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বাশারুল আলম বাপ্পু।
অভিযোগকারী বাশারুল আলম বাপ্পু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন কাজ চলছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যের সময় অতর্কিতভাবে নবাবপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য বাদশাহ আলমগীরের উষ্কানিতে তার অনুসারী ২৫-৩০ জন দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমাদের অনুষ্ঠানের মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুরসহ দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাদশাহ আলমগীর ২০১৭ ও ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দল তাকে বহিষ্কার করে৷ বিএনপি কর্মীদের নিয়েই সে হামলা চালিয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশাহ আলমগীর বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত না। আমাকে শুধু শুধু এখানে জড়ানো হচ্ছে। এই ঘটনার সুত্রপাত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে।