নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভুমিহীনদের বসবাসের জন্য বেশ কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। তার মধ্যে বোলতাগাড়ী ইউনিয়নে আশ্রয়ণ দুই নামে একটি। ওই আশ্রয়নে বাসা নং- ৮/ ৫ বরাদ্দ দেয়া হয় হযরত আলী নামে একজনকে। হযরত আলী ওই বাসায় তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছে। তার স্ত্রী উত্তরা ইপিজেডে কাজ করে।
স্ত্রী বাসায় না থাকায় তিনি অন্য এক মহিলার বাসায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। আবাসনবাসী বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ভাল হওয়ার সুযোগ দেন। কিন্তু তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি তাকে আর এক মহিলার বাসায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় নাতে তাকে ধরে ফেলে আবাসনের লোকজন। রাতে বৈঠক শেষে তাকে থানা পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
পরে বেশ কয়েকদিন সে জেল খেটে বের হয়ে আসে। তার অত্যাচারে আবাসনবাসী অতিষ্ঠ। ওই আশ্রয়নের সভাপতি ছরদ্দি মামুদ জানান,আবাসনে অনেকের মেয়ে বিবাহ উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু নোংরা লোকের জন্য কেউ আবাসনের মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না। ওই হযরত আলীর নানান অপকর্মে আবাসনের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আর তার ওই সকল অপকর্মে সহযোগিতা করছে ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ময়নুল হক। আমরা আবাসনের সুন্দর পরিবেশ রক্ষার্থে ৮৭ জন স্বাক্ষর করে তার শাস্তির দাবি জানিয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে আসানের বাসিন্দা আসিয়া,সাবিনা,বিলকিস ও আরজিনা জানান,ওই হযরত আলী নারী লোভী ব্যক্তি। সে আবাসনে একের পর এক নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত। তার কারণে আজ আমরাও লজ্জায় মুখ দেখাতে পারি না। আমরা তার শাস্তিসহ আবাসন থেকে ঘর বরাদ্দ বাতিলের দাবি করছি।
এ ব্যাপারে মেম্বার ময়নুল হক জানান, আবাসনে কি হয় তা আমার জানা নেই। অযথা আমাকে জড়ানো হচ্ছে।