কুড়িগ্রামে স্কুলে ভর্তি না হওয়া ও ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূল স্্েরাতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জেলায় একযোগে ৯০টি শিখন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরোর সহযোগিতায় এসব শিখন কেন্দ্র পরিচালিত হবে।
শনিবার ছিন্নমুকুল বাংলাদেশ কুড়িগ্রামের বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামের উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সরকারপাড়া-২ উপানুষ্ঠানিক শিখনকেন্দ্রের উদ্বোধন ও ছাত্র-ছাত্রীদের বই বিতরণ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পরিচালক জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কুড়িগ্রামের মোঃ সাইদুর রহমান, ছিন্নমুকুল বাংলাদেশ কুড়িগ্রামের সিনিয়র প্রোগাম ম্যানেজার সুশান্ত পাল, জেলা প্রোগাম ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম. ফিন্যান্স ম্যানেজার মোঃ জুয়েল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
সংশ্লিষ্টরা সূত্র জানায়, এই স্কুলগুলো ৩ বছর মেয়াদী হবে। এখানে ৮ থেকে ১৪ বছরের যে সমস্ত শিশু কখনো স্কুলে যায়নি তাদের অর্ন্তভুক্ত করে শিক্ষার মূল স্্েরাতে ফিরিয়ে আনা হবে। ১ টি করে স্কুলে শিক্ষার্থী থাকবে ৩০ জন এবং তাদের জন্য ১ জন শিক্ষক থাকবেন। এরকম ১৪টি স্কুল মনিটরিং করার জন্য ১ জন সুপারভাইজার থাকবেন। এ ছাড়া উপজেলা ও জেলা প্রোগাম ম্যানেজার থাকবেন।
নদী ও চরাঞ্চল বেষ্টিত কুড়িগ্রামে ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূল স্্েরাতে ফিরিয়ে আনতে এই কর্মসূচি বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন অতিথিরা।