বহু অপকর্মের হোতা চিহ্নিত দুই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজীর মামলা হওয়ায় কলারোয়ার মোড়ে মোড়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ জনতা। মিষ্টি বিতরণকারীর মধ্যে কয়েকজন জানান-দেয়াড়ার জাকির ও গদখালীর মোজাহিদ দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষের ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিত। তাদের সাথে আরো ৫/৬জন সহযোগি জোট করে এ কাজ করে আসছিলো। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার সরকারকেও তারা ছাড় দেয়নি। ১০হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার পরে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছে। এমনকি ডা. অমল কুমার সরকার এর বাসা বাড়ীতে লোক পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনেও হুমকি দেয়া হয়। ডা. অমল কুমার সরকার এর মানসম্মান নষ্ট করার জন্য হয়রাণী মূলক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। থানায় এজাহার দেয়ার পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ডা. অমল কুমার সরকার এর গ্রামের বাড়ী কেশবপুরে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার বড় ভাইকে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করেছে। যা তাদের মোবাইল ফোনের ভয়েস রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এর আগে প্রাণিসম্পদ অফিসের সদস্য সুমন এর বাড়ীতে গিয়ে মারপিট করার হুমকি দেয় তারা। সুমন তাদের হুমকিতে ভয় পেয়ে বাড়ী ছেড়ে দিয়েছে। থানা পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে শুক্রবার রাতে জাকির হোসেন, মুজাহিদসহ ৩/৪জনের বিরুদ্ধে চাঁদা বাজীর মামলা রেকর্ড করে। এদিকে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় মুহুতের মধ্যে এলাকার জন সাধারণ আনান্দে উল্লাস প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেন। এদিকে চাঁদাবাজ জাকির ও মুজাহিদ গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় আত্মগোপন করেছে। তাদের আটকের দাবী জানিয়েছে কলারোয়ার জন সাধারণ।