পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পাবনার সুজানগরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে উপজেলার হাট-বাজারে ততবেশি কোরবানির পশু আমদানি হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর নির্দিষ্ট দু’টি পশুর হাট ছাড়াও আরো দু’টি হাট-বাজারসহ মোট চারটি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। হাট-বাজারগুলো হলো রাইপুর হাট, শ্যামগঞ্জ হাট, মানিকহাট পশুর হাট ও সাতবাড়ীয়া বাজার পশুর হাট। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী তারাবাড়ীয়া বাজারেও কোরবানির পশুর হাট বসছে। ঈদের এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি থাকলেও ওই সকল হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল ও মহিষ উঠছে। স্থানীয় গৃহস্থদের পাশা-পাশি কোরবানির পশু ব্যবসায়ীরাও হাট-বাজারে গরু-ছাগল ও মহিষ নিয়ে আসছেন। তবে বেচাকেনা কম। রাইপুর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা গৃহস্থ আমিন উদ্দিন বলেন তিনটি গরু নিয়ে বাজারে আসছিলাম। কিন্তু ক্রেতার অভাবে একটি গরুও বিক্রি করতে পারি নাই। একই বাজারে বিশাল দু’টি ষাড় গরু নিয়ে আসা গৃহস্থ আবদুল খালেক বলেন বাজারে ষাড় দু’টি নিয়ে আসার পর শত শত মানুষ এক নজর দেখার জন্য ভীড় করেছে। কিন্তু কেউ তেমন দাম বলেনি। ২/১জন ক্রেতা দাম বললেও তা লালন-পালন খরচের চেয়ে অনেক কম। ফলে তিনি ষাড় দু’টি বিক্রি না করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। তবে হাট ইজারাদার আবদুস সালাম বলেন হতাশার কোন কারণ নেই। ঈদের ৪/৫দিন আগে কোরবানির পশুর চাহিদা এবং দাম বৃদ্ধি পায়। এখনও সময় হাতে থাকায় ক্রেতারা পশু না কিনে হাট-বাজার ঘুরে বাজার যাচাই করছেন।