শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদপুরের সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসানো বন্ধ করলেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠনিটির গভর্নিংবডির সভাপতি মোছা: তাছলিমা আকতার।
শনিবার বিকাল ৫ টায় শিক্ষক, হাট কমিটি, ইজারাদারদের নিয়ে মিটিং করে স্কুল মাঠে গরু-ছাগলের হাট না বসানোর জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান স্কুল মাঠে গরুর হাট বসানো বন্ধের দাবি জানিয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান বলেন, বহুদিন ধরে সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসানো হয়েছে। গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারনে স্কুলের লেখাপড়ার পরিবেশ চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে ও করোনা কালীন সময়ে স্বাস্থবিধি মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং স্কুল মাঠে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে। আমি আমার সহকর্মীদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত আভযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: তাছলিমা আকতার
বলেন, গত ০১ জুলাই শুক্রবার সকালে জানতে পারি যে সালথা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসেছে। এ বিষয়টি আমাকে প্রধান শিক্ষক অবহিত করেন নাই। এরপরে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল পরিদর্শন করে সরেজমিনে স্কুল মাঠের পরিবেশ এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে বিকাল ৫ টায় স্কুলের শিক্ষকম-লী, হাটের ইজারাদার, হাট কমিটির সাথে আলোচনা করা হয়। বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট কোনভাবেই কাম্য নয়। আসন্ন কোরবানির বিষয়টি সামনে রেখে অস্থায়ী পশু হাটের জন্য পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠ ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যার, ডিডিএলজি স্যার, পুলিশ সুপার স্যারকে অবগত করা হয়। এরপ্রেক্ষিতে সালথা থানার ওসি রোববার সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট সরিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
এ ব্যাপারে সালথা হাটের ইজারাদার ও সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, বহুদিন ধরে সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানো হয়েছে। তবে সরকারী নিদেশনা মোতাবেক ইউএনও নিষেধ করে দেওয়ায় তিনি আর স্কুল মাঠে গরুর হাট বসতে দেননি।