উত্তরবঙ্গের অন্যতম হাট চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর হাট। এই হাটে ধান,চাল,আলু, সরিষা,গম কাঁচা তরিতরকারিসহ অন্যান্য পণ্য পাইকারি খুচরা বিক্রির পাশাপাশি পৃথক পৃথক স্থানে গরু-ছাগলের হাট বসে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরু-ছাগলের হাট দুটিতে সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু-ছাগল আসতে থাকে। গরু-ছাগলের পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতারা হাটের চারিদিকে কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে এবার গোখাদ্য দাম বেশি। তাই বিক্রেতারা বেশি দাম চাচ্ছেন।
রহনপুর গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে সারি সারিভাবে গরু দাঁড়িয়ে আছে। ছোটবড় অসংখ্য গরু। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে অনেক গরুকে সাজিয়ে এনেছে। গরুর সাইজের উপর নির্ভর করে দাম চাচ্ছে বিক্রেতা। আর ক্রেতারা পছন্দ হলে দরদাম করতে দেখা গেছে। তবে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মধ্যে বেশি গরু বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ছাগলের হাটে একই রকমের ভিড় দেখা গেছে। তবে মধ্যবিত্ত পরিবাররা ছাগল ও ভেড়া কিনতে বেশি আগ্রহী। ১০ থেকে ২০ হাজারে মধ্যে বেশি ছাগল কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। হাট দুটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের অন্যস্থানের ক্রেতাদের সমাগম ছিল লক্ষণীয়।
বিক্রেতা রফিক জানান, তিনি ছোটবড় তিনটি গরু নিয়ে এসেছেন। একটা গরু বিক্রি হয়েছে আর দুটা রয়েছে। ক্রেতা যে দাম বলছে তাঁর চেয়ে দশ হাজার টাকা বেশি হলেই বিক্রি করে দিবেন। তবে প্রচুর পরিমাণে গরু হাটে আসায় ক্রেতারা পছন্দের গরু কিনতে দ্বিধায় পড়েছেন।
আইনাল,রউফ,বাবু অনেকের বাড়ির পোষা গরু নিয়ে এসেছেন তবে যে দাম চাচ্ছে সে দাম পাচ্ছেন না। তবে দাম নায্য দাম না পেলে ফেরত নিয়ে যাবেন বলে তাঁরা জানায়। আবার অনেকে অপেক্ষা করছেন কোন ক্রেতা বেশি দাম বললেই বিক্রি করে দিবেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার গরু ব্যবসায়ী কালাম আজাদ জানান। গ্রাম ও বিভিন্ন হাট থেকে পাঁচটি গরু কিনে এই রহনপুর হাটে এনেছি। ৩ টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। বাঁকি দুইটা গরু দুপুরের পর বিক্রি হয়ে যাবে। তবে গরুটি বিক্রি করে তিনি ভাল একটা আয় করবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে ছাগলের হাটে একই অবস্থা রয়েছে। হাটের স্থানের আশপাশে জায়গায় প্রচুর ছাগল ও ভেড়া এসেছে। দাম নাগালে থাকলেও বিক্রি পরিমাণ কম। তবে ক্রেতারা পছন্দমত ছাগল কিনছে বলে ইজারাদার জানিয়েছেন।
হাট ইজারাদার প্রতিনিধি মাহবুব জানান, হাটে প্রচুর গরু পরিমাণে গরু নেমেছে। তবে ক্রেতা খুবই কম। তবে দুপুরের পর বেচা-কেনা বাড়বে বলে তিনি জানান। হাটের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.কাওসার আলী জানান, কুরবানীর হাটে গবাদী প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ৫৫ হাজার ৩৮২টি গবাদি পশু (গরু,ছাগল, ভেড়া ও মহিষ) কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।