বগুড়ার আদমদীঘিতে আফ্রিকান মাগুর মাছ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলার মৎস্য বিভাগ। অভিযানে ৫৯ কেজি আফ্রিকান মাগুর মাছ আটক করার সময় সেখানে মৎস্য বিভাগের কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় বিচারিক দায়িত্ব পালন করেছেন ওই দপ্তরের অফিস সহায়ক মারিয়া বেগম। একজন অফিস সহায়কের বিচারিক দায়িত্ব পালন করা নিয়ে এলাকায় মানুষের মাঝে নানা কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
এলাকার মৎস্য ব্যবসায়িদের অভিযোগে জানা গেছে, গত রোববার সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহায়ক মারিয়া বেগম সান্তাহার ইউনিয়নের হেলালিয়া হাটে অভিযান যান। এ সময় তিনি সেখানে রেজাউল ইসলাম ও আবদুল হাকিম নামের দুই মৎস্য ব্যবসায়ির নিকট থেকে ৫৯ কেজি আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করেন। পরে তিনি নিজেই বিচারিক দায়িত্ব নিয়ে জব্দ করা মাছগুলো ছাতনী গ্রামের একটি মাদ্রাসায় দিয়ে দেন। এ নিয়ে মৎস্য বিক্রেতা ও মারিয়া বেগমের মধ্যে ব্যাপক বাক বিতন্ডা শুরু হলে পরে মাদ্রাসা থেকে প্রায় ১৫ কেজি মাছ বিক্রেতাদের ফেরৎ দেওয়া হয়। স্থানীয় মৎস্য জীবিরা অভিযোগ করে বলেন, মারিয়া বেগমের বাড়ি ছাতনী গ্রামে। এ কারণে মারিয়া বেগম স্থানীয় মৎস্যজীবি ও মৎস্য বিক্রেতাদের ওপর নানা ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অত্যচার করেন। এরই ধারাবাকিতায় তিনি হাট বাজারে এসে মৎস্য ব্যবসায়িদেরহয়রানী করে থাকেন। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে যেতে না পারায় মারিয়া বেগম অভিযানিক দায়িত্ব পালনের জন্য মুঠোফোনে নিদের্শ দিয়েছেন। একজন অফিস সহায়ক এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা সহ বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে লোকবল কম থাকায় এ কাজ করতে হয়েছে। এ বিষয়ে মারিয়া বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।