কুমিল্লার হোমনায় মাদক মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত আসামীসহ পরোয়ানাভুক্ত আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ। পুলিশের বিশেষ অভিযানে সোমবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার আসামীদের কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. শরীফ মিয়াকে তার বাড়ি হোমনা উপজেলার কালিপুর গাজী বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের রমজান আলীর পুত্র।
থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর ফেনি জেলার ছাগলনাইয়া থানার ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশি^ম পাশে নিজ কুঞ্জুয়া এলাকা থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের এক হাজার পিস ইয়াবাসহ ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মো. শরীফ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় ১৯(১) এর ৯(খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এতে গত ২৩ মে ২০২২খ্রি. তারিখে শরীফকে ১০ বাছরের সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেন আদালত। রোববার তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়। সোমবার হোমনা থানা পুলিশ তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
অন্য আসামিরা হলেন- ডাকাতি প্রস্তুতির দায়ে জিআর মামলায় হোমনা উপজেলার ভিটি কালমিনা গ্রামের ইনু মিয়ার পুত্র কবির, ছোট ঘারমোড়া গ্রামের মোতালেব মিয়ার পুত্র সারোয়ার হোসেন ও মাদক মামলায় নিলখী স্বর্ণকার পাড়ার মৃত নান্নু মিয়ার পুত্র মো. কবির হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সিআর মামলায় ওপারচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগম, সিরাজুল ইসলাম মানিকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান ও রবিউল এবং আলীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র সাদ্দাম হোসেন।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ডাকাতি, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জিআর ও সিআর মামলায় আট আসামীর বিরুদ্ধে রোববার আদালতের পরোয়ানা পেয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি। এতে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি শরীফসহ অন্যান্যের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।