ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ঘন ঘন বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে এ অঞ্চলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব স্থানে বর্তমানে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ নাজেহাল।
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ার পর লোডশেডিং মোটামুটি বিদায় নিয়েছিল। শহরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটও হতো অনেক কম। এখন সেই লোডশেডিং আবার ফিরেছে। কালীগঞ্জ শহর ও ইউনিয়নে কয়েকদিন ধরে দি রাতে অন্তত ১২ থেকে ১৪ বার করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, রাতেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া এলাকার গৃহবধু সুমাইয়া ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন অজুহাতে। কিন্তু গরমে অবস্থা কাহিল হলেও আমরা ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ছে। এতে একদিকে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে ওভারলোডে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
কালীগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট কিংবা লোডশেডিং যেটাই বলেন না কেন সেটা শুধুই কালীগঞ্জের সমস্যা নয়, এটা জাতীয় সমস্যা। আমদানি কমায় গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দিনে গড়ে ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। দুই দিন ধরে এই গ্যাস সরবরাহ ২৭৫ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট। যে কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে দেশব্যাপী। ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ লোডের জন্য নির্ধারিত হলো ১৪.৫ মেগাওয়াট। এই ৩ উপজেলার জন্য বর্তমানে ৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং এর নির্দেশ রয়েছে। তিন উপজেলা মিলে আলাপ-আলোচনা করে আমরা তা কাভার করি। সংকটময় এই সময়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।