বগুড়ার আদমদীঘিতে অল্প সময়ে বাড়তি লাভের আশায় মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে এলাকার কৃষকরা। মরিচ চাষ লাভজনক হওয়ায় এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মরিচ চাষ। এখানকার মরিচের গুণগত মান ভাল হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েদেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। মরিচ চাষ করে একদিকে কৃষকরা যেমন আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে দেশের মরিচের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররাএসে এখানকার কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে যায়। ব্যবসা ভাল হওয়ায় মরিচ চাষে জড়িত কৃষকরা বেশ খুস মেজাজে রয়েছে। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় মরিচ ব্যবসা প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নীরবে রেখে যাচ্ছে অবদান। সরকারী উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্বল্প আয়ের গ্রাম পর্যায়ের কৃষকরা আরোও প্রসার ঘটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে বলে তারা জানান। সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার আদমদীঘিতে মরিচের হাট বসে। হাটের দিন সকালে এলাকার উৎপাদিত কাঁচা মরিজ গুলো কৃষকরা প্রতি মন ২৫শ’ থেকে ২৮শ’টাকা দরে পাইকারী ভাবে বিক্রি করছে। এখান থেকে পাইকাররা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করছে। জানা যায়, উপজেলার কোমারপুর, মঙ্গলপুর, শাওইল, শালগ্রাম, জিনইর, কোমারভোগ, আমইল, কেশরতা সহ বেশ কিছু মাঠে কৃষকরা মরিচের চাষ করছে। কৃষকরা বোর মৌসুমে তাদের জমিতে ধান চাষ কিছুটা কমিয়ে দিয়ে মরিচ চাষ করে। অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকার কৃষকরা মরিচ চাষে দিন দিন আগ্রহ হয়ে উঠছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের গাছ গুলোতে পোকা বা ছত্রাক আক্রমণ করতে পারেনি। তাই মরিচের গাছ গুলো এখনো সতেজ আছে। বিশেষ করে মরিচের অধিকফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় মরিচ চাষিরা লাভবান হচ্ছে। প্রতি মন মরিচ পাইকারীবিক্রি হচ্ছে ২৫শ, টাকা থেকে ২৮শ’টাকায়। উপজেলার আমইল গ্রামের গ্রামের মরিচ চাষি নূর ইসলাম জানান, বিঘা প্রতি প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকাখরচ হলেও ইতোমধ্যে আমার ১৯ শতাংশ জমি থেকে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রয় করেছি। বাজার দর ঠিক থাকলে আরো কমপক্ষে প্রায় ২০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রয় হবে। আমার দেখা-দেখি প্রতিবেশী কৃষকরাও মরিচ চাষের দিকে আগ্রহী হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, আদমদীঘি উপজেলায় এ বছর ৩০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। মরিচের ফলন ভাল ও বাজার দর বেশি পাওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মরিচ চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।