ঈদ-উল আজহা সামনে। এ উপলক্ষে হাটহাজারীর বিভিন্ন স্হানে গবাদি পশুর বাজার জমতে শুরু করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে গবাদি পশুর বাজারের বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। সরকারি নীতিমালা বর্হিভূত ভাবে কোন কোন স্হানে অতীততে গবাদি পশুর বাজার বসানো হয়েছে। এতে করে গবাদি পশুর মলমূত্রের কারণে পরিবেশ দূষণ হয়েছিল। অননুমোদিত বাজারের কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম - নাজিরহাট - খাগড়াছড়ি মহাসড়ক,চট্টগ্রাম - রাঙ্গুনিয়া - কাপ্তাই মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম - রাউজান - পার্বত্য জেলা রাঙামাটি মহাসড়ক উপর বাজার বসানোর কারণে দীর্ঘ যানযট সৃষ্টি হয়ে যাত্রী, পথচারী, রোগীবাহী এম্বুল্যান্সকে ভোগান্তির শিকারে পরিনত হতে হয়। জন দূর্ভোগ, যানযট নিরসন, সর্বপরি সরকারি রাজস্ব যথাযথ ভাবে আদায়ের লক্ষ্যে এবার অনুমোদনহীন গবাদি পশুর বাজারের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন কঠোর উদ্যোগ গ্রহন করেছে। উপজেলার আওতাধীন কোন স্হানে অনুমোদনহীন গবাদি পশুর বাজার বাসানো যাবে না বলে গরু ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কোন স্হানে অনুমোদনহীন বাজার বসানো হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসন যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে উল্লেখ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম। ইতোমধ্যে অবশ্য অনেক গরু ব্যবসায়ী উত্তর বঙ্গ থেকে গরু নিয়ে এসেছে। এইসব ব্যবসায়ী সুবিধা জনক স্হানে গরুর দোকান, শো রুম ও ডিসপ্লে সেন্টারে রেখে গরু বেচা বিক্রি শুরু করেছে। উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নাবিল ফারাবী জানান হাটহাজারীতে এবার কোরবানির গরুর সংকট হবে না। খামারীদের নিকট পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা ও দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে আসন্ন কোরবানের ঈদে বিক্রি জন্য ইতোমধ্যে গরু এনে মজুত করে রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। হাটহাজারী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে গবাদি পশুর বাজার তদারকির জন্য দক্ষিণ হাটহাজারীতে একটি, উত্তর হাটহাজারীতে একটি এবং কাপ্তাই মহাসড়কে পৃথক পুলিশ টহলের ব্যবস্হা করা হয়েছে বলে সম্প্রতি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় ওসি রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন।