পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর কর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘরের দরজা ও আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুট-পাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় উভয় পক্ষের ৮ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (০৫জুলাই) রাতে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য কলারদোয়ানিয়া গ্রামে। আহতরা হলেন ওই গ্রামের এক পক্ষের মোস্তাফা কামাল (৬০), তার স্ত্রী মানসুরা বেগম (৫৫), আসমা বেগম(২৩), পুত্র সিরাজুল ইসলাম (২৭) ও পুত্র এনায়েত হোসেন (৩০)। অন্য পক্ষের মো. আল-আমীন বাহাদুর (৪৫), পুত্র মো. ছবুর ইসলাম (২১) ও সুলতান মাহমুদ (৫০)। হামলায় আহত মো. এনায়েত হোসেন জানান, তিনি আপেল প্রতীকের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের কর্মী ছিলেন। এর জেরে স্থানীয় বিজয়ী মেম্বার শাহ জালালের কর্মী আল-আমীন বাহাদুর ও সুলতান মাহমুদ গত ৪ দিন আগে সন্ধ্যার পরে তার বাড়ির কাছের কাউয়ুমের দোকানের সামনে বসে কটূক্তি করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গত ৩দিন ধরে তারা তাকে মারধর করতে উদ্যোগ নেয়। এমনকি কিছু লোক-জন নিয়ে হামলা করতে তার বাড়িতেও যায়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বিষয়টি মীমাংসার জন্য গত মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) রাতে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের মাধ্যমে খবর দেন। তারা সেখানে যাওয়ার কালে বাড়ির কাছের একটি ব্রীজের উপর বসে প্রতিপক্ষের ৫০-৬০ জন লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে। হামলায় প্রান রক্ষার্থে বাড়িতে ঢুকলে হামলাকারীরা বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভীতর ঢুকে। এ সময় তার মা ও গর্ভবতী স্ত্রী সহ ৫ জনকে মারধর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ঘরে থাকা বিকাশ ও ফ্লাক্সি লোডের ৫টি মোবাইল এবং নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। তবে অভিযুক্তরা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, স্থানীয় কিছু লোক তাদের (অভিযুক্ত) উপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা করেছে। এতে তাদের ৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো. রিয়াজুল হাসান কাওছার জানান, বিজয়ী মেম্বারের কর্মী আল আমীন বাহাদুর ও তার লোকজন মোস্তফা কায়সারের বাড়িতে ৪ দফা হামলা করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাসানাত ডালিম জানান, হামলার খবর পেয়ে সেখানে গিয়াছিলাম। সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনের জেরে মোস্তাফা কামালের বাড়িতে হামলা করে তাকে সহ পরিবারের ৫ জনকে মারধর করা হয়েছে। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, খবর শুনে ওই রাতেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ অসে নি।