ফেনীতে র্যাবের পৃথক চারটি অভিযানে ১৫৮ কেজি গাঁজা, ভারতীয় ২১৫টি শাড়ী ও ৮১টি লেহেঙ্গা উদ্ধার করেছে। এ সময় এসব মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহৃত দুটি ব্যক্তিগত গাড়ী জব্দ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ফেনীতে র্যাব সদস্যরা পৃথক ৪টি অভিযান চালায়।
র্যাব জানায়, বুধবার ভোরে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের মটুয়া কলেজ রোডে একটি ব্যক্তিগত গাড়ী তল্লাশী করে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৬১ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও গাড়ীর চালক ওমর ফারুক শিমুলকে (২৪) গ্রেপ্তার করেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার রামপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনের থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়ী তল্লাশী করে ৩২ কেজি গাঁজাসহ চালক মো. বিবেক মিয়া (৩৩) ও মো. জাকির হোসেন (২৮) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার হাজারী পুকুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ইউনুছ (৩১) নামে একজনকে গ্রেপ্তার, ২১৫টি ভারতীয় শাড়ী ও ৮১টি লেহেঙ্গা উদ্ধার করেন।
এছাড়া গত মঙ্গলবার দুপরে অপর এক অভিযানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মানিক (৩৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার ও ৬৫ কেজি গাজাঁ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, চারটি অভিযানে মোট ১৫৮ কেজি গাঁজা ও ২১৫টি বিভিন্ন ধরনের শাড়ী ও ৮১টি লেহেঙ্গা উদ্ধার করা হয়েছে। যার অনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩ লাখ, ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান চারটি পৃথক অভিযানে ১৫৮ কেজি গাঁজা, ২১৫টি ভারতীয় চোরাচালানীর শাড়ী ও ৮১টি লেহেঙ্গা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চোরাচালানী ও মাদক কারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় কম দামে গাঁজা কিনে চট্টগ্রাম নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে তারা বেশী দামে বিক্রি করেন। এ ছাড়া ভারতীয় চোরাচালানীর শাড়ী ও লেহেঙ্গা চট্টগ্রামে বেশী দামে বিক্রি করেন।