দীর্ঘ দুই মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আবার ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে কেজি প্রতি ৩৪ টাকা। বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়। আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারত থেকে প্রায় ১১৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আমদানির খবরে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে বন্যা পরিস্থিতিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সংকটের আশঙ্কা এবং ঈদে যাতে পেঁয়াজের দাম না বাড়ে এজন্য সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছেন।
ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, গতকালও দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪৫ টাকায় কিনেছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। দাম কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রাশেদ আলী জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমে যাবে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে দেশি পেঁয়াজে তাঁদের লোকসানে পড়তে হয়েছে।
বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক শামিম উদ্দীন গাজি বলেন, সরকার ইমপোর্ট পারমিট দেওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ১১৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানি ও সরবরাহ বাড়লে আরও দাম কমবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আবদুল জলিল বলেন, দুই মাস পরে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে, আজ ভারত থেকে ১১৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। যাতে দ্রুত বন্দর থেকে খালাস নিতে পারে এজন্য ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা থাকছে।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩৫-৩৬ লাখ টন। যা দেশে উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন। গত বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টন। তবে গরম আর সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ২০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাহিদা মেটাতে প্রায় পুরো বছর আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এসব পেঁয়াজের সিংহভাগ আসে ভারত থেকে। এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ লাখ টনের ও অধিক পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।