নাটোরের লালপুরে বাবার হাসুয়ার কোপে আবদুল হাকিম (৪২) নামে দুই কন্যা সন্তানের জনক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই ২০২২) দুপুরে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের বড়ময়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী রিমা খাতুন পরি (২৭) বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে তার স্বামী আবদুল হাকিম ঈশ্বরদী পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন। এ সময় তার শ্বশুর আজিজুর রহমান ওরফে আজদার খলিফা এক ব্যক্তিকে জমি ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি হাফিজা বেগমসহ অন্য সন্তানদের সাথে ঝগড়া করছিলেন। কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে তার শ্বশুর আজিজুর রহমান খলিফা ব্যাগে রাখা হাসুয়া বের করে স্বামী আবদুল হাকিমের গলায় কোপ দেন। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকেও কোপ দেন। হাসুয়ার কোপে তার বাম হাতের কব্জি কেটে গিয়ে আহত হন। পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎক তার স্বামী হাকিমকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধী নেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার আগেই পথিমধ্যে আবদুল হাকিম মারা যান। গলায় হাসুয়ার কোপে রক্তনালী কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। আহত রিমা খাতুন কে চিকিৎসাধীন দেয়া হয়েছে।
নিহতের শাশুড়ি উপজেলার এবি ইউনিয়নের বরমহাটি গ্রামের আসেনারা বেগম ও শ্বশুর আবদুর রহিম বলেন, ২০১১ সালে আবদুল হাকিমের সাথে তার মেয়ে রিমা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের পায়েল (১১) ও পান্না (৭) নামে দুজন সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে আজিজুর রহমান ওরফে আজদার খলিফা বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রায় ছয় মাস যাবত তিনি ওয়ালিয়া বাজারে তার দর্জির দোকানেই অবস্থান করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দোকান থেকে বাড়ি গিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে খুনের ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় কেউ এখনও অভিযোগ করেননি। তবে আইনগত বিষয়টি পক্রিয়াধীন রয়েছে।