পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দরিদ্রদের জিআর (মানবিক সহায়তা) চাউলে ভাগ বসাতে গিয়ে ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড গুণতে হয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতাকে। আবদুর রাজ্জাক নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা খানমরিচ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ময়দানদীঘি গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে।
শুক্রবার (০৮ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই অর্থদন্ড আদায় করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুত্রে জানা গেছে, খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দরিদ্রদের জন্য ১০ কেজি করে জিআর (মানবিক সহায়তা ) চাউল বিতরণ করছিলেন। এ সময় খানমরিচ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে বনভোজেনের নামে ৫ বস্তা চাউল দাবী করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা চাউল দিতে না চাইলে তারা সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান গিয়ে ঘটনার সতত্যা পান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাককে ৩ হাজার টাকা অর্ধদন্ড প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে এঘটনার বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল হাসান বিপ্লব জানান, ঘটনার সত্যতা জেনে পরবর্তীতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাক আমাকে জানিয়েছেন চাউল মাপে কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা তাঁকে ফাঁসিয়েছেন।’
খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠু জানান, ‘বনভোজনের নামে তারা পরিষদে এসে আমাদের কাছে চাউল দাবি করেন। কিন্তু চাউল না দেওয়ায় তারা সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ নাহিদ হাসান খান জানান, সেখানে সঠিকভাবে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বনভোজনের নামে ৩ বস্তা চাউল দাবী করেন। এ ঘটনায় সত্যতা পাওয়ায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৩ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৬ ধারা মোতাবেক ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’