গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ আমিনুল হক সাদেকের জানাজা নামাজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে পারিবারিক গোরস্তানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের আমরাইদ গ্রামের নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহির রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। এ ছাড়া কলেজ শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
মরহুম আমিনুল হক সাদেকের জানাজা নামাজে শরীক হয়ে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী এরশাদ আজাদ, টোক শরীফ মোমতাজউদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তাজউদ্দীন, ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় হাইলজোরের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ্ আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিকদার, জেলা পরিষদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজ উদ্দিন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক এফ এম কামাল হোসেন, বিএনপি নেতা আজগর হোসেন খান, কৃষকলীগ নেতা সাবেক ভিপি হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ূব, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন শিশির প্রমূখ।
বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান রুবেলের পরিচালনায় জানাজা নামাজ পড়ান স্থানীয় পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ জামাল উদ্দিন। এর আগে মরহুমের একমাত্র পুত্র আলতামাসুল হক উৎস জানাজা নামাজে উপস্থিত মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তাঁর পিতার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সবার নিকট দোয়া প্রার্থণা করে। এ সময় উপস্থিত হাজার হাজার মুসল্লিদের মাঝে এক আবেগ ঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মরহুম অধ্যক্ষ আমিনুল হক সাদেক অত্যন্ত বিনয়ী, সদাহাস্যোজ্জ্বল, সৎ, মেধাবী ও সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য ব্যতিক্রমী একজন ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় ব্যাপক সমাদৃত ছিলো। ব্যক্তিগত জীবনে সে পড়াশোনা শেষ করে এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার পরিবারের সম্পত্তি দান করেন। শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।