লটারীর মাধ্যমে লাখপতি হলেন অসহায় ও হতদরিদ্র নোয়াখালীর সেনবাগে ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের বাতাকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল হক স্বপন। যিনি দিনের আয় দিয়ে দিন চলে। পরিবারের স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে কোন রকমে ডালভাত খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। লক্ষ টাকা তার কাছে স্বপ্নের মতো, সেই মানুষটি হঠাৎ করেই এক লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেলেন। হ্যাঁ এমন ঘটনায় ঘটলো মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি সৈয়দ হারুনের বাড়িতে।
সেনবাগের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও টপ ষ্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হারুন দীর্ঘদিন থেকে স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর, শিক্ষিত এবং দারিদ্র্য মুক্ত ইউনিয়ন গড়তে। সে লক্ষে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সে কর্ম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন "সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন" ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তিনি বিগত রমজানের ঈদে চালু করেন লাখপতি প্রজেক্ট। ফাউন্ডেশনে কর্মীদের দিয়ে খুজে বের করেন এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষদের। এরপর তিনি কয়েক মাস পরপর ওই ইউনিয়নের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষদের তালিকার মধ্য থেকে লটারীর মাধ্যমে একজন মানুষকে সবলম্ভী করার জন্য লাখপতি বানিয়ে দেন।
সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হারুন জানান, ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তিনি এক লক্ষ টাকা সহযোগীতা করে একটি সুন্দর, শিক্ষিত ও দারিদ্র্য মুক্ত ইউনিয়ন গড়ার লক্ষে তিনি লাখপতি কর্মসূচি শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে ওই হতদরিদ্র ব্যাক্তি কয়েক বছর পর যেন তিনি নিজেই সমাজের অন্যান্য অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করতে পারে।
সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো লটারীর মাধ্যমে লাখপতি হয়েছে মোহাম্মদ আবদুল হক স্বপন সেনবাগ উপজেলার ৫নং অজুর্নতলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বাতাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।এরআগে প্রথম লাখপতি হয়েছিলেন রকি উল্লাহ। সংগঠনের কর্মীদের দিয়ে ৯৩ জন হতদরিদ্র ব্যাক্তির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পর্যয় ক্রমে লটারীর মাধ্যমে সকলকে লাখপতি বানানো হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ হারুন, ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক তারেক আজিজ রনি, সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন দূর্জয়, ছিলোনিয়ার ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বিএসসি, সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির প্রধান শিক্ষক আবদুর জব্বার সহ সংগঠনের সদস্য বৃন্দ।
একইদিন সৈয়দ হারুন ফাউ-েশনের পক্ষ থেকে প্রে শ্রেনী হতে শ্রেনী পর্যন্ত ১৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সম্মননা সনদপত্র বিতরণ করা হয়।