কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু'র নেতৃত্বে সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাই স্কুল চত্বরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৭ সালের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে এ উপলক্ষে আনন্দ র্যালি বাজার প্রদর্শন করে স্কুল ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। এরপরেই শুরু হয় অনুষ্ঠান আলোচনা পর্ব। আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন ঐ স্কুলের ১০ জন প্রাক্তন শিক্ষক সহ বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবদুর রব। এ সময় প্রাক্তন শিক্ষকদের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন এবং সকলকে একত্রি করার জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৭ এর শিক্ষার্থীদের। এই আয়োজন অব্যাহত থাকুক সেটিরও দাবি জানান তারা। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবদুর রব বলেন আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এই স্কুলটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল এই স্কুলের অনেক ছাত্র বিভিন্ন বড় বড় জায়গাতে অবস্থান করছে। তারপরেও তারা সময় বের করে আজ এই মিলন মেলার আয়োজন করেছেন। অনুষ্ঠানে জাঁতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঈদুল আযহার পরের দিন এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৭ সালের প্রায় ৯০ জন ছাত্র একত্র হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু তার বক্তব্যে বলেন,এখানে আমরা সকলেই বন্ধু। এখানে নেই কোন ধর্মের ভেদাভেদ, নেই কোন জাতির ভেদাভেদ। কর্মজীবনে, ব্যক্তি জীবনে বা রাজনৈতিক জীবনে মতপার্থক্য থাকলেও এখানে তার বিন্দুমাত্র প্রভাব না রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ আমরা বন্ধু একসাথে লেখাপড়া ও খেলা ধুলা করে বড় হয়েছি। তিনি বলেন আমাদের এই মিলন মেলার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য আমাদের বন্ধুদের ভিতরে যারা পিছিয়ে পড়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করব এটাই তো বন্ধুত্বের পরিচয়। তাই সকলকেই একত্র হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এসএসসি পাশ করেছি প্রায় ৩৫ বছর। এভাবে আগে কখনো দেখা হয়নি। অনেকদিন পর সকলকে একসাথে দেখে প্রাণটা ভরে গেল। তাই এই মিলন মেলা অব্যাহত থাক সেটা আমি চাই। এই মিলন মেলার আয়োজন করার জন্য আমাদের কয়েকজন বন্ধু উদ্যোগ গ্রহণ ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বিশেষ করে এনায়েত খান টুন্টু, দিলীপ ঘোষ, আতাহার দুলু, সোহেল আশফাক, শফিউর রহমান পলাশ, মেহেদী হাসান, সাঈদ মির্জা, আশরাফুল নূরানী, আবদুল জলিল, রফিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ, মীর শাহাদাৎ হোসেন, সোহরাব হোসেন, আবদুল মোনায়েম, খলিলুর রহমান সহ অনেকেই। তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। অনুষ্ঠানে মধ্যাহ্নভোজনের পরে সকলেই বক্তব্য রাখেন। কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের স্মৃতিচারণ করেন, এবং হাসি আনন্দে মেতে থাকেন। মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন-আমরা খুব দ্রুত একটি কমিটি করব এই কমিটির কাজ হবে আমাদের যে সকল বন্ধুরা অসহাংয় অবস্থায় আছে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া। অনুষ্ঠানের শেষে সকলকে একটি করে সৌজন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ১৯৮৭ এসএসসি ব্যাচের অন্যতম সদস্য এনায়েত খান টুন্টু। তিনি বলেন এই আয়োজন অভ্যত থাকবে। সর্বোপরি সকলের সুস্বাস্থ্য ও শুভকামনা জানিয়ে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।