ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতাল এ- অর্থোপেডিক সেন্টারে ওই হাসপাতালের নার্স রিমা প্রামাণিকের (১৮) হত্যাকারীদের ফাসিঁর দাবিতে মানব বন্ধন ও হাসপাতাল ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজমুল হাসান পৌর পার্কের সামনে রিমা হত্যার ফাসিরঁ দাবিতে মানব বন্ধনের আগে মানববন্ধনকারীরা ইউনাইটেড হাসপাতাল ও বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় হাসপাতালের আন্তঃ বিভাগ ও বহিঃবিভাগের রোগী ও স্বজনা আতঙ্কিত হয়ে দিক বিদ্বিক ছুটাছুটি করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি তাপস বিশ্বাস, মির্জাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম হিমেল, ইউপি সদস্য আখিঁ রানী পাল ও বিউটি বিশ্বাস প্রমূখ।
মানব বন্ধনে তারা বলেন, নিহত রিমা পুলিশে চাকরী করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে ভৈরবের সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে ইউনাইটেড হাসপাতালে গত ২ বছর যাবত নার্স হিসেবে চাকরী করেছে। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিল। তারপর ফোন করে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাসপাতালের এমডি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা তার ফাসিঁ চাই।
এ বিষয়ে হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ও ভৈরব পৌরসভার সাবেখ কাউন্সিলর আল আমিন জানান, নিহত রিমা হাসপাতালের একটি রুমে ফাসিঁতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তারপর ও রিমার পরিবার মামলা দায়ের করেছে একজন কে পুলিশ গেস্খফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। তারপর কেন হাসপাতাল ভাংচুর করা হবে ? হাসপাতালে ভাংচুরের কারণে অনেক রোগী ও স্বজনরা ভয়ে দ্বিক বিদ্বিক পালিয়ে গেছে। এতে আমার হাসপাতালের বিশাল ক্ষতি হয়েছে ,আমি আইনের আশ্রয় নিব।
ভবনের মালিক মামুন মিয়া জানান, হাসপাতালের উপর ৩য় তলায় আমাদের আবাসিক বাসা। আমাদের বাসার রুম ভাংচুর করা হয়েছে কেন ? আমারা প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
ভৈরব থানার সেকেন্ড অফিসার উপ- পরিদর্শক আবদুর রহমান জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করলে হাসপাতালের এমডি সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতে। মামলার তদন্ত চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান।
উল্ল্যেখ্য ঃ গত সোমবার সকালে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে পুলিশ রিমার মরদেহ উদ্ধার করে এবং মঙ্গলবার নিহতের বাবা সেন্টু দাস প্রামাণিক বাদী হয়ে হাসপাতালের এমডি হানিফুর রহমান সুমন ও নার্স লিজার নাম উল্ল্যেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ হাসপাতালের এমডি হানিফুর রহমান সুমন কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।