বগুড়ার আদমদীঘিতে ছেলে ও মেয়ে দু’জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতের আঁধারে দু’পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বাল্য বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে উপজেলা সদরের কেশরতা গ্রামে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা সদরের কেশরতা গ্রামে মমতাজুর ফকিরের নাবালক ছেলে সাহেদ ফকির (১৭) এবং আহসান হাবীবের নাবালিকা মেয়ে হোসনে আরা (১৬) এর সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সূত্র ধরে আহসান হাবীবের নাবালিকা মেয়ে হোসনে আরা গত বুধবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের মমতাজুর ফকিরের বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান শুরু করে। এদিকে ঘটনাটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে হোসনে আরার বাবা- মা সেখানে মেয়েকে উদ্ধার করতে এসে ব্যার্থ হয়ে ফিরে যান। এলাকার সচেতন মহল ঘটনার বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলেও শেষ পর্যন্ত মমতাজুর ফকিরের পক্ষের লোকজন ওই এলাকার ইউপি সদস্যকে ঘটনার বিষয় জানায় এবং তারই উপস্থিতিতে ওই গ্রামের উভয় পক্ষের লোকজন বৈঠক বসে তিন লক্ষ টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করে রাতের আধারেই তাদের বাল্য বিয়ে সু-সম্পন্ন করে ফেলে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ফজলুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনর্চাজ রেজাউল করিম রেজা বলেন, ওই রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় বলেন, ঘটনাটি মোবাইল ফোনে জানার পর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।