জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রচারণা করতে গিয়ে গোপালপুরে সন্ত্রাসী হামলায় হাত পা ভেঙ্গে পঙ্গু হন সরকার দলীয় ত্যাগী কর্মী আবদুর রহিম। তিনি আলমনগর ইউনিয়নের মাদারজানি গ্রামের বাসিন্দা। তারপর থেকে দীর্ঘ নয় বছর ধরে তিনি পঙ্গু হয়ে অসহায় জীবনযাপন করতেন। সংসার ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিমে পড়তেন।
এমতাবস্থায় এত বছর অতিবাহিত হলেও কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি। অবশেষে দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে খবর পান স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। তিনি তার সাথে কথা বলে জানতে পারেন ব্যাটারী চালিত একটি অটো রিকসা পেলে পুনরায় তিনি উপার্জন করতে পারবেন। তখন এমপি মহোদয় তাকে রিকসা কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রতিশ্রুতির সাতদিনের মাথায় নিজস্ব অর্থায়নে তিনি একটি রিকসা কিনে আজ রাতে আবদুর রহিমকে উপহার দেন।
রিকসা উপহার দেয়ার সময় এমপি মহোদয়ের সহধর্মিণী ঐশি খান আজ থেকে আবদুর রহিমের সন্তানের লেখাপড়ার সমস্ত বেতন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে আবদুর রহিম জানান, ২০১৩ সালে সিএনজি করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রচারণা করতে গিয়ে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের হাতে উপজেলা হাসপাতাল গেটের সামনে নির্মম ভাবে দু-হাত দু-পা ভেঙে পঙ্গু হই। এরপর থেকে অসহায় জীবনযাপন করতে থাকি।
আজ প্রতিশ্রুতির ৭ দিনের মধ্যে জীবিকা নির্বাহের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয় ব্যক্তিগত অর্থায়নে ব্যাটারি চালিত রিকসা আমাকে উপহার দেন। আমি তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।