কর্মকর্তার প্যাড, সিল ও স্বাক্ষর জাল করে জাল সনদ বানিয়ে ব্যাপক প্রতারনা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক কর্মচারি। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে তদন্তসহ তোড়পাড় শুরু হয়েছে। তিনি নিজেই কর্মকর্তা সেজে বালঅই নাশক বিক্রির সনদ প্রদান করে থাকে। এ ছাড়া নিম্নমানের কোম্পানির ওষুধ যা কোন ফসলেই প্রয়োক করা সঠিক না তার পর ও দুনীতি পরায়ন কর্মকর্তা ঐ ওষুধের গুরগত মান ভাল বলে প্রত্যায়ন দিয়ে থাকে। এত করে সাধারন কৃষকরা মারাত্নক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কার্যালয়ে এসএপিপিও পদে কর্মরত আনোয়ার হোসেনের নামে স্বাক্ষর জালিয়াতির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। তনি এর আগে মহেশপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় হামিদুল হক ও মতিয়ার রহমান নামের দুইজন ব্যবসায়ির বালাইনাশক লাইসেন্স প্রদান করেছিলেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশিক্ষন অফিসার বিজয় কৃষ্ণ হালদার এর স্বাক্ষর জাল করে। পরবর্তীতে ওই লাইসেন্স নবায়নের জন্য পুনরায় বিজয় কৃষ্ণ হালদার এর নিকট গেলে তিনি স্বাক্ষর জালিয়াতির ব্যাপারটি ধরে ফেলেন। বিষয়টি তখন জেলা প্রশিক্ষন অফিসার তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে এই ঘঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যে কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে সেই কর্মকর্তাকে দিয়ে ওই তদন্ত কমিটির আহবায়য়ক করা হয়। গত ১২ জুলাই ২০২২ তারিখ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিজয় কৃষ্ণ হালদার স্বাক্ষরিত ১৪০৮/১(৩) স্মারক নাম্বারে একটি পত্র প্রেরন করা হয় ১৭ জুন কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ বালাইনাশকের লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে জাল-জালিয়াতি করে আসছেন। শুধু তাই ননয় তিনি বিভিন্ন কীটনাশক কোম্পানির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে নিম্ন মানের বালাই নাশক ওষুধ বিক্রির ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।এ ব্যাপারে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল তা স্থগিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আজগর আলী জানান,আনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর জালিয়াতির ব্যাপারটি আমরাই ধরেছি।তার অনৈতিক এ কর্মকান্ডের ব্যাপারে আমি অতিরিক্ত পরিচালক মহোদয়কে অবহিত করেছি। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটি আমি স্থগিত করেছি। পুনরায় নতুন কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনে আনোয়ার হোসেন দোষী প্রমানিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।