আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষাকাল। অথচ আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও পাবনার সুজানগরের ঐতিহাসিক গাজনার বিলে পানি নেই। এতে এবছর বিলে মাছ সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য বিলে পানি না থাকার জন্য এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।
বিলপাড়ের খয়রান গ্রামের আবদুর রহমান বলেন প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি গাজনার বিলে বর্ষার নতুন পানি আসার একমাত্র রুট উপজেলার ত্রিমোহনী স্লুইস গেট। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুরুতে পদ্মা নদী হতে ওই গেট দিয়ে গাজনার বিলে পানি আসে। এ সময় পানির সাথে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক মাছও আসে। বিলপাড়ের মৎস্যজীবীরা ওই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাশাপাশি ওই মাছ কিছুটা হলেও উপজেলাবাসীর চাহিদা মেটায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবছর আষাঢ় মাসে স্লুস গেট বন্ধ রাখে। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমেও এক সময়ের খর¯্রােতা গাজনার বিল প্রায় পানি শূন্য। বিলপাড়ের শারীরভিটা গ্রামের আবদুল আওয়াল বলেন চলতি মাসে বিলে পর্যাপ্ত পানি না আসলে একদিকে মাছ সংকট দেখা দিবে, অন্যদিকে বিলে আবাদ করা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ব্যাপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী সুধাংশু কুমার বলেন আষাঢ় মাসে বিলে পানি প্রবেশ করলে বিলের আশপাশের নিচু জমিতে আবাদ করা পাট এবং রোপা আমন ধান ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে ওই সময় স্লুইস গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গত ৪/৫দিন হলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।