নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের লেমুয়া বাজারে একটি দোকান ঘরের ভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে লেমুয়া ও ঠনারপাড় দুই গ্রাম বাসির মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,বাড়িঘরে হামলা ও দোকানপাট ভাংচুর এবং সংঘর্ষের ঘটনায় শিশু সহ অন্তত ১০ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে সবুজ (৩২) নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তাকে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় ঠনারপাড় গ্রামের আতিকের ছেলে মনির আহম্দ ও লেমুয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে শাকিব বাদি হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যাক্তির নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪শ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। ওই ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার আতঙ্কে ছাতারপাইয়া ইউপির লেমুয়া ও ঠনারপাড় গ্রাম বর্তমানে পূরুষ শূণ্য অবস্থায় রয়েছে।আহতরা হচ্ছে ঃ খোরশেদ আলমের ছেলে সোহাগ (৩২),মামুনের ছেলে মিলন(১৩)হাজ¦ী আবদুল লতিফের ছেলে সবুল(৩২)মহিন উদ্দিনের ছেলে বাবু (৮), বাকীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউপির লেমুয়া বাজারে ঠনারপাড় গ্রামের আতিক মাষ্টারের দখলিয় খালি জায়গায় একটি দোকনঘর নির্মান করে তার ছেলে মনির আহম্মদ। নির্মিতব্য ওই দোকান ঘরটি লেমুয়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুনের নিকট ভাড়া দেওয়া হবে এমন কথা ভিত্তিতে মনিরের সঙ্গে মামুন থেকে নির্মান কাজ সমাপ্ত করে। কিন্তু দোকানঘর নির্মাণ শেষে মনির মামুনের নিকট দোকানঘটি ভাড়া না দিয়ে অন্যত্র ভাড়া দিয়ে দেয়। এই নিয়ে ঈদের পরদিন সোমবার দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। যার জের ধরে মঙ্গল,বুধ,বৃহস্পতি ও শুক্রবার দফায় দফায় ঠনারপাড় গ্রামের মনির, লিটন, শাকিব আনিস, রিপন, সুমন,এবাদুল, নুর হোসেন ফযয়াদ, কাইয়ুমের নেতৃত্বে ৩০/৪০জনের একদল সন্ত্রাসী লেমুয়া গ্রামের মামুনদের বীরমুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলীর বাড়ি, হাজ¦ী আবদুল লতিফের বাড়ি, পেয়ার আহম্মেদের বাড়ি ও লেমুয়া বাজারের মামুন ষ্টোর, হাবিরের কম্পিউটার দোকান, স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার তৈহিদের ইত্যাদি কাপড়ের দোকান ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়।
খবর পেয়ে সেনবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদশন করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে টহলে রয়েছে।
যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।