যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের চাপাতলায় স্ত্রীসহ দুই শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত সাবিনা ইয়াসমি বিথীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে খুনি জহুরুল ইসলাম বিশ^াস’কে আসামি (১জন) করে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০।
বাদী শেখ মুজিবুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় বিগত ১১বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক যশোর জেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মশিউর বিশ^াস’র ছেলে জহুরুল ইসলাম বিশ^াসের সাথে বিবাহ হয়। তাহাদের দাম্পত্য জীবনে সুমাইয়া আক্তার(৯)ও সাফিয়া আক্তার (প্রায়২) বছরের ২টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিবাহের পর থেকেই আমার মেয়ের কাছে বিভিন্ন সময় না না আজুহাতে টাকা দাবী কারিয়া মারধর করতেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করিয়া ২২জুন২০২১ তারিখে ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ঘাতক জহুরুলকে প্রদান করে। গত ১মে ২০২২ তারিখে ঘাতক জহুরুল সহ আমার মেয়ে ও দুই নাতনীকে নিয়ে আমার বাড়ীতে আসে। শুক্রবার ১৫-৭-২০২২ বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় আমার বাড়ী থেকে ঘাতক জহুরুলের বাড়ী জগন্নাথপুর যাবে বলে বেড় হয়। শুক্রবার বিকাল আনুমানিক সোয়া ৬টার সময় ঘাতক জহুরুলের বাবা মশিউর বিশ^াস আমাকে ফোন দিয়ে আমার মেয়ে ও নাতনীর কথা জানতে চায়। কিছুখন পরে ফোন দিলে জহুরুলের বড় ভাই মঞ্জুর বিশ^াস বলেন আপনার মেয়ে ও নাতনীদের জহুরুল ইসলাম বাবু মেরে ফেলছে। আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় শুক্রবার রাতেই ঘাতক জহুরুল ইসলাম বাবুকে পুলিশ আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে শুক্রবার রাতে উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের নুরইসলামের কলাবাগান থেকে ঘাতক জাহিরুলের স্ত্রী নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (২৮), দুই শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তার (০৯) ও সাফিয়া আক্তার(০২) লাশ উদ্ধার করে অভয়নগর থানা নিয়ে আসে পুলিশ। এবং শনিবার সকালে লাশ ৩টি ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে শশুর বাড়ি অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রাম থেকে জগন্নাথপুরে নিজ বাড়ি স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ফিরছিলো জহিরুল। পথিমধ্যে চাঁপাতলা নূর ইসলামের কলাবাগানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় ঘাতক জহিরুল ইসলাম বাবুকে বসুন্দিয়া ক্যাম্পে পুলিশ আটক করে অভয়নগর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে অভয়নগর থানা পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে সাত’টার দিকে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক জহুরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয় অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম শামিম হাসান জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১০। আসামি আটক করে যশোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।