জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রা গ্রামে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ না দেওয়ায় পেট্রোল ছিটিয়ে ফার্মেসি পুড়ানোর চেষ্টার সময় খন্দকার রওনক আহমেদ পলাশ নামে এক মাদকসেবীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
আটক পলাশ ওই গ্রামের মৃত খন্দকার আবু সালেহ মো. ফারুক টাইগারের ছেলে।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪ টার দিকে জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা মিয়াবাড়ি বাজারে হাটচন্দ্রা মেডিকেল হলে এ ঘটনা ঘটে।
মেডিকেল হলের মালিক মো. হাফিজুর রহমান আকবর জানান, শুক্রবার রাতে ওই মাদকসেবী তার ছেলেকে দিয়ে চিরকুট পাঠায় সেডিল ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ নেয়ার জন্য। আমি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে আজ (শনিবার) বিকেলে বোতলে ভরা পেট্রোল দিয়ে আমাকেসহ সারা ফার্মেসিতে ছিটিয়ে দেয়। দেয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাতে গেলে আমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে এসে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্যামিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম বলেন, ঘুমের ইনজেকশন না দেওয়ায় পলাশ নামে এক মাদকসেবী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ইমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ফার্মেসি থেকে পলাশকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।