পুরুষের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তার মুখ। আর সে মুখে ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার দাড়ি থাকে, যা তাদের মুখের তিন ভাগের এক ভাগ ঢেকে রাখে। অধিকাংশ পুরুষই নিয়মিত দাড়ি শেভ করেন। কেউ কেউ অবশ্য লম্বা দাড়ি রাখেন, সেটা সংখ্যানুপাতে কম। প্রতিদিন শেভ করার ফলে ত্বকে জ¦ালা, চুলকানি, র্যাশ এমনকি ফুসকুড়িও বের হয় কারও কারও।
শেভ করার শুরুতে যে রেজর ব্যবহার করবেন, সেটা ধারালো কিনা, দেখে নিবেন। ভোঁতা ব্লেড দিয়ে শেভ করলে ত্বকের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে নাকে ও চোখে। তাই শেভের পর ত্বকের সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রথমে মুখে হালকা গরম পানি দিয়ে দাড়িগুলো ভিজিয়ে নিবেন। পুরো দাড়িতে ফোম বা জেল ঠিকমতো লাগিয়ে নিয়ে খানিকটা সময় অপেক্ষা করা উচিত। তারপর যতটুকু সম্ভব একটানে শেভ করতে চেষ্টা করবেন।
দাড়ির উল্টো দিকে শেভ করা ঠিক নয়। এতে ত্বকের ওপরের অংশের রোদ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমে যায়। আর গোসলের আগে নয়, পরে শেভ করলে নরম দাড়িতে বাড়তি সুবিধা পাবেন। এ সময় ত্বকের মৃত কোষগুলোও বেরিয়ে আসবে।
শেভের পর ঠা-া পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুখ মুছে নিতে হবে। মুখে অবশ্যই আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করবেন। এতে ত্বকে জীবাণু সংক্রমণ হবে না। তবে আফটার শেভ লোশন ব্যবহারের সময় সেটা অ্যালকোহলমুক্ত ও ময়েশ্চারসমৃদ্ধ কিনা, দেখে নিলে ত্বকে বাড়তি যতœ কম লাগবে।
যদি কেউ ফিটকিরি ব্যবহার করেন তাহলে সেটা একান্তই নিজের হতে হবে। একই ফিটকিরি একাধিক মুখে ঘষা ঠিক নয়। শেভের পর ফিটকিরির ব্যবহারে মুখে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। আর শেভের পর মুখের ত্বকে সাদা সাদা র্যাশ দেখা দিলে ত্বকে স্ক্র্যাবিং করবেন। না হলে ত্বকরে ক্ষতি হতে পারে।