কিশোরগঞ্জের হারুয়ায় টপটেন প্রতিষ্ঠানের পেছনের গলিতে খুন হওয়া জয়নব বিবির নাতী তানজিলুর রহিম ফাহিমকে ১০ বছরের দন্ডাদেশ দিয়েছে কিশোরগঞ্জ ১নং শিশু আদালতের বিচারক কিরণ শংকর হালদার। মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত জয়নব বিবি তার নাতী তানজিলুর রহিম ফাহিমকে দেখাশোনা করতো। ছেলেটি মাঝে মাঝে নানীর কাছে নানা বিষয় নিয়ে দাবী দাওয়া করতো। দাবী দাওয়া পুরণ না করলেই চটে যেত নানীর ওপর। ঘটনার দিনে ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ প্রয়োজনে নানীর কাছে টাকা চায় ফাহিম। টাকা দিতে না পারায় শাবল দিয়েই নানীকে আঘাত করে ঘাড়ের ডান পাশে রক্তাক্ত জখম করে এবং ছুরি দিয়ে ফাহিম নানীর কানের নীচে ঘাড়ের ডান পাশে উপর্যপরি পার মেরে নানীকে হত্যা করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নানী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় ফাহিমের মামা দেলোয়ারকেও রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ভাগ্নে ফাহিম ফিরাতে এসে মামা দেলোয়ার নিজেও আহত হয়। জানা যায় ফাহিম প্রথমে তার মায়ের প্রতি ক্ষুব্দ হয়েছিলো টাকার জন্য। তাই মায়ের প্রতি থাকা ক্ষোভ নানীর ওপরে পড়ে। এ ঘটনায় ফাহিমের মামা আ.রউফ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২ বছর ৯ মাস ১৬ দিন পরে গত বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ শিশু আদালত নং-১ এর বিচারক কিরণ শংকর হালদার নাতী তানজিলুর রহিম ফাহিমকে ১০ বছরের কারাদ- দেন। ঘটনার সময় তার বয়স ১৬ বছর ছিলো। বর্তমানে তার বয়স ১৮ হওয়ায় তাকে গাজীপুর থেকে সরাসরি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন শিশু আদালতের বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর এড. এমএ আফজাল ও আসামি পক্ষে এড. সৈয়দ শাহজাহান।