সৈয়দপুরে হিউম্যানিটি ইন ডিসট্রেস ( হিড ) এর এনজিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ এর বিরুদ্ধে সৈয়দপুরের এফওএইচ নামে প্রাইমারী বিদ্যালয় ও গরীব বস্তিবাসী দুস্থ পরিবারে কোরবানির মাংস বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। আমেরিকান সংস্থা ফ্রেন্ডস অফ হিউম্যানিটির দেয়া ৪৫ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। সৈয়দপুর উপজেলার অসহায় মানুষের জন্য ৫০টি গরু ও ৪০টি ছাগল বরাদ্ধ আসে।
ওই বরাদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্বারক নাম্বার ০৩.০৭.২৬৬৬.৬৬৪.৬৯.১৫০.১২-৩৩৩ তারিখ-১৬/৬/২২।
পরিপত্রের প্রথম শর্ত সংশ্লিষ্ট জেলা প্রসাশক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সম্পৃক্ত রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু হিউম্যানিটি ইন ডিসট্রেস ( হিড ) কর্পতৃক্ষের নির্বাহী পরিচালক হারুন- অর- রশিদ ও তার সৈয়দপুরের এজেন্ট লতিফসহ তার কিছু দালাল চক্রকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের নির্দেশনা ও নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেরা কম মূলের পশু ক্রয় করে। মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে এমন অভিযোগ করা হয়। তারা অতি গোপনে কোরবানি করে থাকে।
প্রশাসনকে অবগত না করে নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে ঈদের দিন মাংস বিতরণ না করে পরের দিন গভীর রাতে নিজের মনগড়া পছন্দের কিছু লোকজনকে মাংস দিতে থাকে। এ অবস্থা দেখে চামড়া গুদাম উত্তর ক্যাম্পবাসী মাংস বিতরণকারীদের ধাওয়া করলে তারা মাংস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিজের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বিলি বন্টন করে। দালালচক্র অসহায় বস্তিবাসীকে কোরবানীর মাংস হতে বঞ্চিত করেছে বলে একাধিক বস্তিবাসী অভিযোগ করেন। চামড়া গুদাম ক্যাম্পের বাসিন্দা আরমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমরা প্রথম দিন কোরবানি করেছি ২৩ টি গরু ও ১০ টি ছাগল। এরপর ২য় দিন ১২ টি গরু ও ছাগল কোরবানি করা হয়। তার অভিযোগ প্রথম দিন কিছু এজেন্ট এর দালাল মাংস চুরি করার চেষ্টা করলে সে বাধা দিলে ২য় দিন তাকে আর কাজে নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সভাপতি হিটলার চৌধুরি ভলু জানান, তার বাড়ীর পেছনের ক্যম্পটিতেও মাংস বিতরণ করা হয়নি। চামড়া গুদাম ক্যাম্প এর একাধিক বস্তিবাসী জানান তারা সারাদিন অপেক্ষায় থেকেও কোন মাংস পায়নি।
এ ব্যপারে বস্তিবাসীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। এনজিও হিড এর কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করেছে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের প্রশ্ন করা হলে সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে সাংবাদিককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়।
আরও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুলের বাচ্চাদের টিফিনের খাবারও নিম্নমানের দিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে বস্তিবাসীর একাধিক নেতা ঘটনার সুষ্টু তদন্ত দাবী করেন। সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য গত বছরও মাংস বিতরণে অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়। অসহায়রা এক টুকরা মাংস না পেলেও বিত্বশালীরা পেয়েছে পুরো গরু। আর এ অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরা। ফলে এ বছর ওই দাতা সংস্থা অনুদান বন্ধ করে দেয়। আর এ কারণে দালালচক্র ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে সৈয়দপুরে এ দালাল চক্রটি শক্তিশালী। এরা দুদিন আগেও ছিল নাঙ্গা ভুখা। এদের অনেকেই নেশাগ্রস্ত।
ক্যাম্পবাসির অনেকেই জানান,এদের কারণে অসহায়রা সরকারী বেসরকারী কোন সাহায্য পান না। যদি সাহায্য আসে তারা পছন্দের দুই একজনকে তা দিয়ে পুরোটাই নিজের পেটে ভরেন।