রংপুরের পীরগঞ্জে কুমেদপুর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশের ছেলে আবির নামে এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টাকালে বিটুল নামে এক যুবককে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধারপূর্বক আটক করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে কুমেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গণপিটুনির হাত থেকে বিটুলকে উদ্ধার করতে গিয়ে পীরগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুর আলম গুরুতর আহত হয়েছেন। মুমুর্ষ অবস্থায় শিশু আবির কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, কুমেদপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দুই ছেলে আদনান (৮) ও আবির (৬) রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশর্^বর্তী আখিরা নদীতে গোসল করছিল। এ সময় একই গ্রামের বাটুলের ছেলে বিটুল (২২) নামের এক যুবক আবির কে ডেকে নদীর তীরে তুলে অতর্কিতে হাতে থাকা নিড়ানী যন্ত্র দিয়ে তাঁর গলা কেটে হত্যা করার চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির বড় ভাই আদনান চিৎকার দিলে বিটুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বিটুলকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে নিয়ে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে থাকা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তাঁকে উদ্ধার করে পরিষদের একটি কক্ষে আটক রেখে পুলিশে খবর দেয়। পীরগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুর আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিটুলকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা বিটুলকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে এস.আই নুর আলম গুরুতর আহত হয়। পীরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, আটককৃত যুবক পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।