রাতের বেলায় দুদুয়ার খালের ব্রীজের একাংশ ভেঙ্গে ড্রাম ট্রাক একেবারে খালের পানিতে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ১৮ জুলাই রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের রুপাকুড়া গ্রামে। এ ঘটনায় চালকসহ দুইজন আহত হয়েছেন। রেলিংসহ একাংশ ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের ৮ গ্রামের কৃষকসহ এলাকার মানুষজন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে প্রায় দেড়যুগ আগে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের রুপাকুড়া গ্রামে দুদুয়ার খালের উপর মিনি ব্রীজটি নির্মিত হয়৷ কয়েক বছর আগে ভোগাই নদীর পাহাড়ি ঢলে নদী তীর ভেঙ্গে দুদুয়ার খালের সাথে মিশে যায়। ওই সময় ব্রীজের বেশিরভাগ অংশ ধ্বসে পড়ে। প্রায় ৮ বছর আগে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ধ্বসে যাওয়া ব্রীজটি ষ্টীলের স্লাব ও রেলিং সংযোজনের মাধ্যমে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাশের চাটকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের জন্য ড্রাম ট্রাক বোঝাই করে বালু পরিবহন করা হচ্ছিল। ঝুঁকিপুর্ণ নড়বড়ে ব্রীজ হওয়ায় উপড়ে উঠতেই ভেঙ্গে গিয়ে প্রায় ২০ ফুট নিচে পড়ে যায় ওই ড্রাম ট্রাকটি। এ সময় চালকসহ দুইজন গুরুতর আহত হন।
এদিকে, ব্রীজটি ধ্বসে পড়ায় পাশ্ববর্তী পোড়াগাঁও ও নয়াবিল ইউনিয়নের প্রায় ৮ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী রুপাকুড়া গ্রামের কৃষক আশার চন্দ্র বর্মণ, আমিরুল ইসলাম ও সামিদুল মুন্সি ও সুরুজ্জামান বলেন, এই মিনি ব্রীজ দিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ীসহ প্রায় প্রতিদিন দুই শতাধিক ছোট গাড়ী চলাচল করে। এমনকি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য এই ব্রীজ পাড়ি দিয়ে পাশের নয়াবিল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা শহরে নিয়ে যায়। বর্তমানে ব্রীজটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় এলকার সাধারণ মানুষ ও কৃষকরা মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এটি দ্রুত নির্মাণ না করা হলে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কৃষকের পণ্য পরিবহন করতে হবে।
নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমি রাতেই খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি। রুপাকুড়া গ্রামের এই মিনি ব্রীজটি বারোমারী, নয়াবিল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা শহরের সেতুবন্ধন ছিল। বালুভর্তি ট্রাক পার হতে গিয়ে ভেঙ্গে পড়ায় আমরা প্রায় ২০ হাজার এলাকাবাসী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বর্তমান ব্রীজটি আর মেরামত নয় নতুন করে নির্মাণের জোড় দাবী জানাচ্ছি।