নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিবেশী কর্তৃক বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা,ভাংচুর নাবালিকা মেয়ে সন্তান’কে উত্ত্যক্ত করা এবং শিক্ষিকা’কে প্রাণনাশের হুমকি ও পুলিশ কর্র্তৃক অসদাচরন এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক পরিবার।
১৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বনগাঁও রেজিঃ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষিকা মোছাঃ রোকিয়া আক্তার খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি দুর্গাপুর পৌরশহরের দক্ষিণপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন প্রায় ২০ বছর যাবৎ বাসাবাড়ি নির্মান করিয়া বসবাস করিয়া আসিতেছি। ইতোমধ্যে আমার নিকটতম প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন এবং শাহ জাহান ৪/৫ বছর যাবৎ ঘরবাড়ি নির্মাণ করিয়াই আমার জায়গায় দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার জায়গার গাছ/বৃক্ষ জোর করিয়া কেটে রাস্তা বানিয়ে নেয়। গিয়াস উদ্দিন পিতা- ফুটকা মিয়া এবং শাজাহান পিতা-ফজলুল হক সহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে খুন করার চেষ্টা চালায় এবং আমার বাড়ির বেড়া ভাংচুর করে। পরে আমার স্বামী পেছন দরজা দিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে প্রথমে কমিশনার পরে থানায় যাইয়া অভিযোগ দায়ের করি। এরপর গত ২৮/০৫/২০২২ ইং তারিখে সকাল অনুমান ৬:৩০ ঘটিকার দিকে আমার বাসার সামনে আমাকে একা পাইয়া মারধর করে এবং গালিগালাজ টানা হেচড়া সহ শ্লীলতাহানি ঘটানোর পর আমার স্বামী ৯৯৯ নাম্বারে কল করায় দুর্গাপুর থানা থেকে এস.আই হান্নান ও আরেকজন কনস্টেবল আসিয়া প্রথমেই আমাদের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে এবং বলে থানাকে বাড়ীতে নিয়া রাখেন, ৯৯৯ এ কল দিলেন কেন ? এরপর থানায় মামলা করতে গেলে আমার আসল কথা বাদ দিয়া তাদের মতো করে অভিযোগ লেখার পর জোরকরে আমার স্বাক্ষর নিয়া নেয়। দুইদিন পর অপারগ হইয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে যাইয়া পুনরায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করি। এরপর জুন মাসের ১৫ তারিখে আমাকে এসআই হান্নান ফোন করে সন্ধ্যার পর থানায় যেতে বলেন। পরে থানায় যাই, তখন তদন্ত অফিসার এবং এসআই হান্নান আমাকে ঐ মামলার মীমাংসার কথা বলে, না হয় বিবাদীগনও আমার উপর মামলা করবে এবং ঐ মামলাও তারা কোর্টে দিয়া দিবে বলিয়া হুমকি দেয়। এরপর গতকাল ১৭/০৭/২০২২ ইং রোজ রোববার বেলা অনুমান ১:৩০ ঘটিকার সময় দুর্গাপুর থানার এসআই সাদেক এবং এস.আই সুভাশিস গাঙ্গুলী আসিয়া বিবাদীদের পক্ষে অবস্থান নিয়া আমাদের’কে হুমকী দামকী দিয়া বলে যে, আপনার জায়গা কতটুকু ওদের জায়গা পিলার উপরাইয়া ওদেরকে জায়গা বুঝাইয়া দিবে বলিয়া বকাবকি করে (বকাবকি’র ভিডিও করার সময়) আমার স্বামীর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়া প্রয়োজনীয় সমস্ত ভিডিও ডিলিট করিয়া দেয় এস.আই সুভাশিস গাঙ্গুলী। পুলিশের এমন আচরণ আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে আমরা এখানে বসবাস করতে পারবো কিনা ?। আমার মনে হয় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দুর্গাপুর থানার এস.আই হান্নান ও সুভাশিস গাঙ্গুলী আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমি এবং আমার স্বামী ছোট একটি মেয়ে সন্তান নিয়া এইখানে থাকি। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে গিয়াস উদ্দিন পিতা- ফুটকা মিয়া এবং শাজাহান পিতা-ফজলুল হক আমাকে এবং আমার স্বামী সন্তানদের হত্যার চেষ্টা চালায়। এমতাবস্থায় আমি আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চাই আমরা শান্তি চাই, আমরা এখানে শান্তিপূর্ন বসবাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশ প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রশাসন ও সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপ¯ি’ত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি উসমান গনি তালুকদার,অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তাজুল ইসলাম, শিক্ষিকা রোকসানা খাতুন, ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী সোলায়মান কবির ,রতন মিয়া প্রমুখ।