জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় পেরিরচর গ্রামে পাররামরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম মিয়া (জেকে সেলিম) ও তার কথিত সন্ত্রাসী বাহিনি কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী। ১৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পেরিরচর গ্রাম রামরামপুর বাজারে পৃথকভাবে ওই সকল কর্মসূচি পালন করেন গ্রামের লোকজন।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার পরিবার গুলো জানান, ১১ জুলাই সকালে পাররামরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম মিয়া জেকে সেলিমের নির্দেশে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তর সারমারা গ্রামের সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন, উকল মিয়া, আবদুর রউফ, আবুল বাশার ও আসলামসহ ৩৫/৩৫ জন লোক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হযরত আলীর বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রে আঘাতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনসহ কমপক্ষে ১৪/১৫ জন লোক আহত হয়। গুরুত্বর আহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুল্লাহ, মিজানুর রহমান লিপন, মিরাজুল ইসলাম টিটু ও আলী আহমদসহ কয়েকজন ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলাকারীরা বসতবাড়ি ভাংচুর করে, নগদ ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার সোনার গয়নাসহ বিভিন্ন মালামাল লোটতরাজ করে নিয়ে যায়। হামলার শিকার পরিবার গুলোর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান ধলা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবিজল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জমর উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হযরত আলী ও মিরাজুল ইসলাম টিটু। তারা জানান, বিষয়টি নিয়ে বকশীগঞ্জ থানায় বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরেও পুলিশ মামলা নেয়নি। মামলা না নেওয়ায় আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এব্যাপারে পাররামরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম মিয়া (জেকে সেলিম)জানান, আমার কোন লোকজন তাদের উপর বা তাদের বসত বাড়িতে হামলা করেনি। হযরত আলীর লোকজনই আমার পরিবারের লোকজনের হামলা করেছে। বকশীগঞ্জ থানার রামরামপুর বাজারে আমার বড় ভাই তাদেরদ্বারা হামলার শিকার হয়।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, মামলার বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানায় কেউ যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে তদšত সাপেক্ষে ঘটনার সততা পাওয়া গেলে অবশ্যই মামলা হবে। আইন সবার জন্য সমান।