ট্রাক্টর উন্টে মোঃ শাহাদাত হোসেন (১৮) নামের সেনবাগের এক ট্রাক্টর চালক নিহতের ঘটনায় ৩০ ঘন্টা পর লাশ দাফন করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকার পরও থানা পুলিশের অসহযোগীতার কারণে সর্বশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে মৃত্যুর ৩০ঘন্টার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই থানা থেকে লাশ মঙ্গলবার বিকাল ৩টার সময় লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। নিহত শাহাদাত হোসেন উপজেলার ২ নং কেশারপাড় ইউপির বীরকোট গ্রামের বকসী মিয়ার বাড়ীর মোঃ মহসিনের ছেলে। ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৮জুলাই) সকাল ৮টারদিকে সেনবাগের সিমান্তবর্তী কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউপির বোড়রা গ্রামের মাস্টার রমণী কুমার মজুমদারের বাড়ী পাশের জমিতে।
স্থানীয়রা জানায়, সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের বকসী মিয়ার বাড়ীর মহসিনের ছেলে শাহাদাত প্রতিদিনের মতো হালচাষ করার জন্য সেনবাগের সিমান্তবর্তী লাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউপির বোড়রা গ্রামে পাওয়ার ট্রিলার (হ্যান্ডট্রাক্টর) দিয়ে জমিন চাষ দিয়ে ট্রাক্টরটি নিয়ে জমিন থেকে ওঠার সময় হঠাৎ ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। এ সময় শাহাদাত ট্রাক্টরটির নিচে চাপা পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার সকাল ৮টারদিকে শাহাতাদের মৃত্যুর খবরটি তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌছলে শাহাদাতের পিতা মহসীন এলাকার লোকজনকে নিয়ে লাঙ্গলকোট হাসপাতালে পৌছে। কিন্তু ততক্ষনে লাঙ্গলকোট থানা পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরিবারের লোকজন শাহাদাতের মৃত্যুটি নিতান্তই দুর্ঘটনা ওই মৃত্যুর বিষয়ে তাদের কারো প্রতি কোন ধরনের অভিযোগনেই বলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি তাদের নিকট হস্তান্তর করার জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশ ময়ণাতদন্ত ছাড়া লাশ দেওয়া হবেনা বলে অনড় থাকে। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন সোমবার রাতেই কুমিল্লা এডিম কোটে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ময়ণাতদন্ত ছাড়াই লাশটি হস্তান্ত করার আবেদন করেন। কিন্তু এডিম অফিস না থাকায় সকালে যেতে বলেন। এরপর দুপুরে কোটের অনুমতি নিয়ে থানায় পড়ে থাকা শাহাদাতের লাশ ৩০ঘন্টা পর এনে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার সময় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সেনবাগ উপজেলার ২ নং কেশারপাড় ইউপি’র চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল হক সুমন মঙ্গলবার বিকাল ৪টার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা পুলিশের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুক হোসেন মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করা থানায় রাখা ছিলো। কোটের নির্দেশনায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করে বলেন আইনের বিধিবিধান অনুসরণ করেই করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।