বগুড়ার গাবতলীতে বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধুকে ধর্ষনের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বগুড়া জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এ ২৪৩ নং পি/২০২২ (গাব) আদালতে, গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের মাঝবাড়ি গ্রামের জনৈক গৃহবধু বাদী হয়ে একই গ্রামের পিতা মৃত মহির উদ্দীন শাহ’র ছেলে আবদুর রহমান সাজুর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধীত/০৩) এর ৯(১) ধারায় ১৯ জুলাই ২০২২ তারিখে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে আসামি আবদুর রহমান সাজু ৫.১.২০২২ তারিখে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে প্রার্থী হন। সে সুবাদে ভোটের জন্য বাদীর বাড়িতে উঠাবসা করেন। বাদিনির কোন সন্তান না থাকায় আসামি সাজু বাদিনিকে প্রেমের প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত ও মোবাইলে ফোন দিত। বাদিনিকে আরো বলে তার স্বামীর দ্বারা কোন সন্তান হবেনা, তার (আসামীর) সাথে বিয়ে হলে সন্তান হবে, সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে প্রলোভন দেয়।
বাদিনী আসামীর সরল কথায় বিশ্বাসকরে, তার সাথে মনদেয়া নেয়ার একপর্যায়ে আসামি বাদিনির বাড়িতে যাতায়াত করে। বাদীনির স্বামী ভ্যান চালানোর জন্য বাহিরে গেলে বিয়ের প্রলোভনে বাদিনির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। ঘটনার তারিখ ১২ জুলাই আসামি সাজু বাদিনির বাড়িতে এসে ধর্ষন শুরু করলে, স্বাক্ষীগনের সন্দেহ হলে বাদিনির দরজায় ঠোকা দেয়। এ সময় বাদিনি দরজা খুলে দিলে আসামি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকরে। স্থানীয় লোকজন আসামি ও বাদিনিকে আটক করে, স্থনীয় মেম্বার চেয়ারম্যান এবং পুলিশকে সংবাদদেয়। আসামীর ছোটভাই রাসেল মাহমুদ কৌশলে বাদিনিকে নিয়ে আসামীর শ্বশুর বাড়িতে রাখে।
রাতেই পুলিশ এসে সাজুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ১৩ জুলাই বাদিনিকে আসামীর সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে থানা থেকে ছেড়ে আনা হয়। পরবর্তীতে বাদিনিকে আসামি বিয়ে না করায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সহায়তায় বাদিনিকে তার স্বামীর বাড়িতে উঠে দেয়। ওই বিষয়ে ১৫ জুলাই থানায় মামলা করতে গেলে থানা হতে আদালতে মামলার করার পরামর্শ দেয়া হয় বলে ইজাহারে উপর্যুক্ত বর্ননাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে ২৩.১০.২০২২ তারিখে প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে বলে বাদি সুত্রে জানাগেছে। এব্যপারে মামলায় একমাত্র আসামি মোঃ আবদুর রহমান সাজুর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টাকরে হলে, তিনি ফোন রিসিভ না করায়, তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।