চলমান তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভরা বর্ষা মওসুমে বৃষ্টির দেখা না মেলায় আমন ধান রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। গত প্রায় ১ মাস যাবত বৃষ্টি না হওয়ায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বেশিরভাগ আমন ধানের আবাদি জমি শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২৯ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলমান আমন ধান আবাদে ২২ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে চারা রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আর এই লক্ষমাত্রা অর্জনের লক্ষে আমন বীজতলাও তৈরি করা হয়েছে। তবে ভরা মওসুমে চাহিদামতো বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া যেসব জমি আবাদের জন্য প্রস্তুত করতে এক বা দুই চাষ করা হয়েছে সেই জমিও শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এর আগে বোরো আবাদে অতিবৃষ্টির কারণে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করা নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন তারা।
নালিতাবাড়ী উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, ৯ একর জমিতে আমন ধান লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। এজন্য বিভিন্ন জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করেছি। কিন্তু এখনো চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছিনা। বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা নষ্ট হতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমার মতো আরো অনেক কৃষকের দুই এক চাষ করা জমি শুকিয়ে গেছে। এই সপ্তাহে বৃষ্টি না হলে চারা রোপণ করা সম্ভব না। একই এলাকার কৃষক হাবিল উদ্দিন বলেন, আমার ২ একর জমি আমন আবাদে প্রস্তুত করার জন্য দুই চাষ দিয়েছি। এই জমি শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আবার নতুন করে প্রস্তুত করতে বেশি চাষ দিতে হবে। এতে খরচ বেশি হবে, এমনকি ধানের উৎপাদন খরচও বেশি হবে। এ ছাড়া চারা রোপণের সময় আবাদ না করতে পারলে ধানের ফলন কম হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, আসলে সবকিছুই প্রকৃতির নিয়মের অধীন। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়ে গেলে চলমান খরা আমন আবাদে তেমন প্রভাব ফেলবে না। এ ছাড়া আমন বীজতলায় সেচের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন তিনি।