ঝিনাইদহের শৈলকুপার প্রতিটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস জনিত জ¦র ঠান্ডা কাশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেøক্সে বেড়েছে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। বেড ছাপিয়ে মেঝেতে যায়গা হচ্ছে না তাদের। মঙ্গলবার পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত দুইদিনে তারা জ¦র ও ঠান্ডা কাশির ৩০ রোগীরও বেশী চিকিৎসা দিয়েছেন। জরুরী বিভাগেও একই অবস্থা। মঙ্গলবার ৮টা থেকে ৫ ঘন্টায় ১১ জন জ¦র ও ঠান্ডা কাশির রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানান জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা।
উপজেলার চরবাখরবার গ্রামের সোহরাব বিশ্বাস জানান, গত কয়েকদিন ধরে তিনি সহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জ¦রে ভূগছেন। হিতামপুর গ্রামের এম হাসান মুসা জানান, তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জ¦র ও ঠান্ডা কাশিতে আক্রান্ত। মনোহরপুর গ্রামে ইমন শেখ জানান, তাদের গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে জ¦রে আক্রান্ত রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা হাজরামিনা গ্রামের রাফিজুল ইসলাম, সারুটিয়া গ্রামের আনিচুজ্জামান, ধাওড়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন, নাগপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তারা জানান, জ¦রে আক্রান্ত হয়ে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
৫০ শষ্যা বিশিষ্ঠ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স রাহা জানান, গত দুই দিনে তারা আনুমানিক ৩০ জন জ¦র ঠান্ডাকাশিতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন। বর্তামানে ওয়ার্ডে যে রোগী ভর্তি হচ্ছেন তার অধিকাংশ জ¦রে আক্রান্ত।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. শান্তা আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ৫ ঘন্টায় তিনি জ¦রে আক্রান্ত ১১ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে যে রোগী আসছে তার অধিকাংশ জ¦রে আক্রান্ত।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.সুজয়েত হোসেন জানান, ভাইরাস জনিত জ¦র ও ঠান্ডা কাশি উপজেলার প্রতিটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেøক্সে যারা চিকিৎসা নিতে এসে কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ পজিটিভ বলে তিনি জানান। সবাই সতর্ক না হলে এটা মারাত্বক আকার ধারন করতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন তিনি।