পরিবেশ বান্ধব শহর হিসেবে শেরপুর পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়েছে। নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বুধবার (২০ জুলাই) সকালে শহরের অষ্টমীতলা মৃগী নদীর পাড়ে ‘পৌর স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল’ উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন। পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাছিরুল আলম নাহিদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান রেজাউল করিম বলেন, পৌর শহরের অষ্টমীতলা মৃগি নদীর পাড়ে ২.৭৬ একর জমিতে এই বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্রটি স্থাপন করতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পে দেশের ৩৫টি পৌরসভায় এই বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্র চালু রয়েছে। প্রতিদিন এখানে ৩১ মেট্রিকটন বর্জ্য অপসারণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটি চালু হলেও আমাদের জনবল ও বর্জ্য ফেলার গাড়ির স্বল্পতা রয়েছে। অচিরেই তা সমাধান করা হবে।
শেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নয়ন কুমার রায় বলেন, প্রকল্পটি চালু হওয়ায় শেরপুর জেলা শহর একটি পরিবেশবান্ধব শহরে রূপ নিবে। এই ‘স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল’ প্রকল্পটি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি হচ্ছে পঁচনশীল আরেকটি হচ্ছে অপঁচনশীল বর্জ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। পঁচনশীল বর্জ্যগুলো ‘স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল’ প্রকল্পের ভিতরেই নষ্ট করে দেওয়া হবে। আর অপঁচনশীল বর্জ্যগুলো যেমন পলিথিন, পানির বোতলসহ বিভিন্ন প্রকার অপঁচনশীল বর্জ্যগুলো বাছাই করে সেসব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে। এতে শেরপুর পৌরসভার রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। আমরা প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছি এবং পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেগুলো দেখভাল করে শেরপুর পৌরসভাকে পরিবেশ সনদপত্র দিয়েছি।
শেরপুর পৌরসভা মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, আমরা পৌরশহরকে আলোকিত করতে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেছি। রোড লাইটের মাধ্যমে সারা শহরকে আলোকিত করেছি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য যাদুঘর নির্মাণ করেছি। জলবদ্ধতা শেরপুর পৌরসভায় একটি প্রধান সমস্যা ছিলো যা ইতোমধ্যে আমরা আশি ভাগ সমাধান করতে পেরেছি। ‘পৌর স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল’ প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর শেরপুর পৌরসভা একটি পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে রূপ নিবে।