চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশী হওয়ায় আপাতত সিডিউল লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রয়েছে বরিশাল। তবুও লোডশেডিং হওয়ার গুজবে বরিশালের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীরা হঠাত করে খুচরা বাজারে বাড়িয়ে দিয়েছেন চার্জার ফ্যান, লাইট ও আইপিএসের দাম।
দাম বৃদ্ধির খবরে নগরীর তিনটি ইলেকট্রিক সরঞ্জামাদি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নগদ অর্থ জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
বুধবার সকালে অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ্ মোঃ সোয়াইব মিয়া জানান, সারাদেশে লোডশেডিংয়ের ঘোষণার পর থেকেই অযৌক্তিকভাবে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীরা চার্জার ফ্যান, লাইট ও আইপিএসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাধারণ ক্রেতাদের কাছে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে ১৯ জুলাই বিকেলে নগরীর ইলেকট্রিক পন্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইলেকট্রিক পণ্যের মোড়কে খুচরা মূল্য (এমআরপি) লেখা না থাকা এবং প্রতিশ্রুতি পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় না করার অপরাধে সুপ্রিয়া ইলেক্ট্রনিক্স, জাকের রেডিও অ্যান্ড ওয়াচ হাউজ এবং এএল ওয়াচ হাউজ থেকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।