দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের দুইজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্তদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বিভাগীয় স্পেশাল আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ হারুন জানান, মঙ্গলবার শেষকার্যদিবসে আদালতের বিচারক মেহেদী আল-মাসুদ এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বর্তমান খুলনার বিদ্যুত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষী নারায়ণ ভূঁয়া ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ হানিফ হোসেন গাজী।
এজাহারের বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী আরও জানান, আসামিরা ২০১২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং সিকিউরিটি পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে পিজিসিবি, জিএমডি বরিশালের আওতাধীন ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ-কেন্দ্র থেকে কঁচা নদীর পূর্ব পাড়ের পয়েন্ট পর্যন্ত বিদ্যমান ও পরিত্যক্ত ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের যৌথ সার্ভে রিপোর্ট ঠিকাদার আতাউর রহমানের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকা মূল্যের মালামাল আত্মসাৎ করেন।
সূত্রমতে, এ ঘটনায় বরিশাল দুর্নীতি দমন অফিসের উপ-পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি আদালতে মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়। আদালতের বিচারক ২১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। শেষে পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া গ্রামের সত্য নারায়ণ ভূঁয়ার ছেলে লক্ষী নারায়ণ ভূঁয়া ও বরিশাল নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়ার বাসিন্দা হাসমত আলী গাজীর ছেলে হানিফ হোসেন গাজীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরবর্তীতে বিচারক তাদের দুইজনকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। মামলার অপর আসামি সিকিউরিটি পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনকে খালাস প্রদান করা হয়।